ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন ॥ কাদের

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২২ মে ২০২২

সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন ॥ কাদের

অনলাইন ডেস্ক ॥ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না সেটা গতবারও বলেছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করে ঠিকই গেছেন নির্বাচনে। সময় এলে যাবেন এখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা করছেন। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। নির্বাচনে আসুন। শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। তিনি বলেছেন, আমি যদি হেরে যাই, আমি চলে যাব। আপনারা নির্বাচনে এসে জিতুন, কে নিষেধ করেছে? তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না, হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আজ রবিবার দুপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর, বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার চেয়ে সাহসী নেতার জন্ম হয়নি। পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা বাংলাদেশে আর একজনও সৃষ্টি হয়নি। সারা বিশ্বে পরিশ্রমী ৩-৪ জনের একজন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। তিনি বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক। তার বিরুদ্ধে ১৩ বছর ধরে কত আন্দোলনের ডাক, কত ষড়যন্ত্র, কত সন্ত্রাস। তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাসের হোতা বিএনপি এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। কত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তারা এখন বড় বড় কথা বলে। তারা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলে। এটা কি জনগণের দাবি? বিএনপির দাবিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন কেন? পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশের মতো আরেক বাংলাদেশ সুনীল সমুদ্রে যিনি বিজয় করেছেন তিনি কি পদত্যাগ করবেন? আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নেতাদের টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত। শেখ হাসিনার সফলতা আছে, তারা ব্যর্থ। ব্যর্থরা পদত্যাগ করবে। সফল প্রধানমন্ত্রী তিনি বাংলার জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতায় আছেন। জনপ্রিয়তা যাচাই করেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা শতকরা ৯০ ভাগ জনগণ তার পক্ষে রায় দেবে, বলেন কাদের। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, মৎসজীবী লীগের কাজ ঢাকা শহরে না। আপনাদের কাজ গ্রাম-বাংলায়, সারা বাংলায়। যেখানে মাছের উৎপাদন হয় সেটাই আপনাদের কর্মস্থল। ঢাকায় বসে বসে নেতাগিরি করলে হবে না। কমিটি হয়েছে, কমিটির বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ এসেছে। সেটা আমি খতিয়ে দেখবো। আমাদের মূল সমস্যা আমরা কাজ করি কম, কথা বলি বেশি। মৎসজীবী লীগের নেতারা কয়টি জেলা ঘুরেছেন, কী কী কাজ করেছেন আমি আপনাদের রিপোর্ট জানতে চাই। শুধু একেকটা দিবস আসে, এলে এখানে বক্তৃতার আসর। বক্তৃতা শেষ, সব শেষ। এরপর আর কোনো কাজ-কর্ম নেই, ঘুরে বেড়ানো। এমন মৎসজীবী লীগের আমাদের কোনো দরকার নেই। অকেজো মৎসজীবী লীগ আমরা স্বীকৃতি দেবো না।
×