ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ

ঢাকায় বসে কথা না বলে গ্রামে ঘুরে আসুন

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১৭ মে ২০২২

ঢাকায় বসে কথা না বলে গ্রামে ঘুরে আসুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং অপচয়রোধ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদানের পাশাপাশি যারা শহরে বসে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করেন, তাদের গ্রামে গিয়ে সারাদেশের উন্নয়ন চিত্র দেখে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, ঢাকায় বসে সমালোচনা না করে সারা বাংলাদেশটা আপনারা একটু ঘুরে দেখবেন। পরিবর্তনটা কোথায় এসেছে, কতটুকু এসেছে সেটা বোধহয় সকলে গ্রামপর্যায়ে একটু যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন। শুধু রাজধানীতে বসে থাকলে চলবে না। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দিয়েছে, দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, এর সুফল দেশের মানুষই পাবে।’ সোমবার ‘এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনাবিষয়ক দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন-২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলের অংশগ্রহণের ওপর আবারও গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমি বিশ^াস করি, আমরা সকলে মিলে এক সঙ্গে কাজ করলে ২০৩০-এর আগেই আমরা নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে এবং ২০৪১ সালের পূর্বেই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমর্থ হব।’ সমালোচকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অনেকেই হয়তো এখন সমালোচনা করেন। এটা করা হচ্ছে কেন বা এত টাকা খরচ হয়েছে। অনেকে শুধু খরচের দিকটা দেখেন, কিন্তু এই খরচের মধ্য দিয়ে জনগণ যে কত লাভবান হবে, আমাদের অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখবে, আমাদের উন্নয়ন গতিশীল হবে, মানুষের জীবন পরিবর্তনশীল হবে- সেটা বোধহয় তারা বিবেচনা করেন না। এটা খুব দুঃখজনক। বাংলাদেশে সবাই নিজের মত প্রকাশ করতে পারে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আগে বাংলাদেশে একটিমাত্র টেলিভিশন স্টেশন ছিল, ১৯৯৬ সালে তার সরকারের সময়ই বেসরকারী খাতে টেলিভিশন, রেডিও উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এখন সবাই কথা বলতে পারেন, টক শো করতে পারেন। অবশ্য এটা আমি জানি, অনেক কথা বলার পরে বলবেন, আমাদের কথা বলতে দেয়া হয় না। কিন্তু যখন টক শোতে কথা বলেন, কেউ তো আপনাদের মুখ চেপেও ধরেনি বা গলা টিপেও ধরেনি। সবাই যার যার ইচ্ছে মতো বলতে পারেন। তবে সবাইকে আমি বলব, আগে বাংলাদেশটা একটু ঘরে আসেন। গ্রামপর্যায়ে যান, সেখানে মানুষ কী অবস্থায় আছে- একটু দেখে এসে তারপর কথা বললে আপনারা হয়তো জানতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশন (জিইডি) অয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক (ভারপ্রাপ্ত) তুওমো পাউতিয়ানেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। জিইডির সদস্য (সচিব) ড. মোঃ কাওসার আহমেদ বাংলাদেশের এসডিজি অগ্রগতি এবং এসডিজি অর্জনের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে এসডিজিবিষয়ক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। প্রধানমন্ত্রী এসডিজিবিষয়ক একটি প্রকাশনার মোড়কও উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং এসডিজি অর্জনের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, আমরা এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য নীতি সহায়তা এবং তহবিল প্রদান অব্যাহত রাখব, তবে আমাদের অবশ্যই তহবিলের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পূরণ এবং তা যেন বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে এসডিজি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং। তবুও আমি বিশ্বাস করি যে, সঠিক এবং উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা এবং কার্যকর মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশ এসডিজিকে কেবল একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন ধারণা হিসেবে গ্রহণ করেনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক এ লক্ষ্যমাত্রাকে দেশের বাস্তবতা বিবেচনায় নিজের উপযোগী করে প্রণয়ন করার কার্যক্রম শুরু করেছে, যা এসডিজি স্থানীয়করণ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের আওতায় ১৭টি অভীষ্ট হতে ৩৯টি সূচককে বাংলাদেশের জন্য ‘এসডিজি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলার বাস্তবতা বিবেচনায় একটি করে অতিরিক্ত সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যায়, এই অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের সকল সরকারী দফতরে দ্রুততা ও সফলতার সঙ্গে এসডিজি পরিবীক্ষণ এবং বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং দেশের চলমান উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের পথে আমরা সাত বছর অতিক্রম করছি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, গত দুই বছর কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এসডিজি বাস্তবায়ন গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। তবে তার সরকার সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে এবং কাজ করে যাবে। সরকারের পক্ষ হতে সময়োচিত প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান ও যথাযথ নীতি সহায়তা প্রদানের কারণে অর্থনীতি আবারও ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে এসডিজির পথ পরিক্রমা নিশ্চিত করা কঠিন। তবে আমি বিশ্বাস করি, সঠিক ও উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা এবং কার্যকর পরিবীক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। এ প্রেক্ষাপটে ‘এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিউ কনফারেন্স-২০২২’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিশে^র বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমাদের এটা পর্যালোচনা করা দরকার। তিনি বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সব থেকে গুরুত্ব দেব সেটাও নির্দিষ্ট করা দরকার এবং যেগুলো আমরা ইতোমধ্যে অর্জন করেছি সেগুলোকে ধরে রাখা এবং আগামীতে আমরা কি কি বিষয় অর্জন করব, সেটাও ভাবা দরকার যেহেতু এখনকার প্রেক্ষিত যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আমাদের যে সম্পদ রয়েছে, তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ^ব্যাপীই একটা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে এবং খাদ্যাভাবও দেখা দিচ্ছে। আমাদের পানি ব্যবহারে, বিদ্যুত ব্যবহারে, খাদ্যশস্য ব্যবহারে- প্রতিটি জিনিসের ব্যবহারেই সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ আমরা জানি, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মন্দার ধাক্কা সবখানেই দেখা দিচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য দেশের প্রতিটি পরিবার এবং মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধাণের ক্ষেত্রেও আশু করণীয় এবং দীর্ঘমেয়াদী করণীয় যথাযথভাবে নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করার এবং বাস্তবায়ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের পন্থা খুঁজে বের করতে সমর্থ হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ, এনজিও এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিবর্গও সমানভাবে অংশীদার। এ সম্মেলনে সকলের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ভবিষ্যত অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ^াস করি। খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এই কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাদের একটু উন্নত জীবন দেব সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বেসরকারী খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ইতোমধ্যেই বেসরকারী খাতে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগ পরিবেশ অধিকতর সহায়ক করা হয়েছে। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দিয়েছি। অবকাঠামো উন্নয়নে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বেসরকারী খাত আরও বেশি গতিশীল হবে। এ সম্মেলনে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ সম্মেলনের উদ্দেশ্য পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন ধারণা হলেও বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ পরিক্রমার সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এসডিজি প্রণয়নের প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। তিনি বলেন, আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের মতামত নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা জাতিসংঘের কাছে মোট ১১টি অভীষ্টের প্রস্তাব করেছিলাম। এর মধ্যে ১০টি অভীষ্টই জাতিসংঘ হুবহু অনুসরণ করে, অবশিষ্ট অভীষ্টটিও অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে এসডিজি প্রণয়নকাল হতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতি-কৌশল এসডিজির আদলে প্রণয়ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূখ-ের দিক থেকে আমরা ছোট হলেও আমাদের যে বৃহৎ জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদেরকে উন্নত জীবন দেয়াই তার সরকারের লক্ষ্য। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের চেয়ার হিসেবে, বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ এর খসড়া প্রণয়ন করেছে, যার রূপকল্প হলো জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা অর্জন এবং বাংলাদেশের পরিকল্পিত অগ্রযাত্রাকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া। কার্বন পদচিহ্ন হ্রাস করার প্রতিশ্রুতিতে তার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে সারাদেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩টি গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়াও কক্সবাজারে ৬৪০ জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে নতুন বাড়ি করে দিয়েছি মোট ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার নতুন বাড়ি পাবে। ’৯১ সালের ঘূর্ণিদুর্গত এবং নতুন করে যারা নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে তারা এর মধ্যে রয়েছেন। সরকারপ্রধান বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম বিশ^ দরবারে সমাদৃত হয়েছে। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম ৫ বছরে এসডিজি অর্জনে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে এবং ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশকে এসডিজি প্রগ্রেস এ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে। সরকারের উন্নয়ন নিয়ে যারা সমালোচনা করেন তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীতে বসে তার সরকারের করে দেয়া স্বাধীন গণমাধ্যমের সুযোগে ঢালাও সমালোচনা না করে দেশের তৃণমূল পর্যায় ঘুরে এসে স্বচক্ষে উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করে তারপর বক্তব্য দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঢাকায় বসে অনেকেই সমালোচনা করেন। তাদেরকে আমার অনুরোধ থাকবে, সারা বাংলাদেশটা আপনারা একটু ঘুরে দেখবেন। সকলে গ্রামপর্যায়ে একটু যোগাযোগ করলে সেটা জানতে পারবেন। নদীমাতৃক বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন একান্তভাবে অপরিহার্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ যত দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, মানুষের পণ্যের পরিবহন বৃদ্ধি পাবে, মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পাবে, অর্থনীতি সচল হবে, একবারে তৃণমূলপর্যায়ে যে উৎপাদিত পণ্য তা বাজারজাত করা সহজ হবে এবং দারিদ্র্য বিমোচন করে আমাদের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কাজেই এসডিজিতে যে সমস্ত বিষয়গুলো রয়েছে তার মধ্যে যে বিষয়গুলো আমাদের জন্য প্রযোগ্য তা তার সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে এবং করে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
×