নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের দেল্লার মোড় গ্রামে মসজিদের ইমাম ছপিত মুন্সি (৫০)’র লালসার শিকার হয়েছে ৭ বছরের কন্যা শিশু। এঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। থানা পুলিশ ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করে লম্পট ইমাম ছপিত মুন্সি কে আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের দেল্লার মোড় গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষক ছপিত মুন্সি জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের দেল্লারমোর গ্রামের মৃত ওসুল খার ছেলে। ঘটনার দিন সকালে শিশুটির দিনমজুর মা - বাবা শিশুটিকে প্রতিদিনের ন্যায় প্রতিবেশীদের হেফাজতে বাড়িতে একা রেখে কাজে যায়।
এই সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে লম্পট ছপিত মুন্সি। শিশুটি যাতে ধর্ষণের কথা কাউকে না বলে তাকে পাঁচ টাকা দেয়া হয়। ভয় দেখান হয় এ কথা কাউকে বললে তোকে ও তোর মা- বাবাকে মেরে ফেলব। অবুঝ শিশু তার মাকে সব বলে দেয়। দরিদ্র পরিবারটি ন্যায বিচার চাইতে গ্রামের মুরুবিদের বিচার দেয়।
তারা তাকে থানায় যেতে পরামর্শ দেয়। লম্পট ইমাম ঘটনা বেগতিক দেখে দালাল টাউট দূর্বৃত্তদের সহায়তা চায় তাকে রক্সা করতে। দূর্বৃত্তরা কন্যা শিশুর মা- বাবা কে আটক করে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানায় যেতে বাধা দেয়া। জামাত - শিবির চক্র প্রভাবখাটায়। ধর্ষণের ঘটনাটি ইমামদের বিরুদ্ধে হয়রানি করার চক্রান্ত বলে পুলিশকে বি॥ব্রান্ত করার চেসস্টা চালায়। যার কারণে পুলিশ রাতে ঐ লম্পট ইমাম কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বাড়িতে আটক করে রাখে। পুলিশ তদন্ত করে ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাকে রাতে থানায় নিয়ে আসে।
একই সাথে ভোররাতে মা - বাবা কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অসুস্থ কন্যা শিশুকে মা- বাবা ও স্বজনরা লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটি অপরিচিত কাউকে দেখলে আতৎকে উঠছে। আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোক্তারু ল ইসলাম জানান, মসজিদের ইমাম ও শিশু ধর্ষণ খুবেই সেন্সসিটিভ ইস্যু। একটি চক্র ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার অপতৎপরতা করার চেষ্টা করে।
রাতেই ধর্ষককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে আটক করে।বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়ে আটক ধর্ষককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।