ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম আলু আবাদ করে লোকসানের মুখে চাষীরা

প্রকাশিত: ১৬:৫২, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম আলু আবাদ করে লোকসানের মুখে চাষীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ গত মৌসুমে অধিক আলু উৎপাদন করে দাম ভালো পাওয়ায় এবছরও লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ঝুঁকেছিল ঠাকুরগাঁওয়ের চাষীরা। কিন্তু এবার আগাম আলুর দাম কম থাকায় লোকসানে পড়েছেন তাঁরা। গত বছর তারা প্রতি কেজি আলু মাঠেই বিক্রি করেছিলেন ২৫-২৮ টাকা দরে। এবারে তা এক ধাক্কায় নেমে এসেছে ৫/৬ টাকায়। ফলে উৎপাদন খরচের সঙ্গে আলুর দামের তফাত মিলাতে লোকসানের অংক গুনতে হচ্ছে জেলার আলু চাষীদের। তবে এখনও সময় আছে কৃষক আলুতে লাভবান হতে পারে- আশাবাদ স্থানীয় কৃষি অফিসের। ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি ও আবহাওয়া সবজী আবাদের উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছর ক্রমান্বয়ে আলু চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জেলার চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য জেলা এমনকি বিদেশেও সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে জেলার বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল ও সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকার চাষীরা আগাম রোপনকৃত আলু উত্তোলন করতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাজারে এখনো পুরাতন আলু থাকায় এ আলুর চাহিদা তেমন একটা নেই। এ কারণে চাহিদা না থাকায় আলুর বাজারে ধ্বস নেমে এসেছে। বর্তমানে বাজারে প্রতিকেজি আলু ৫/৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লোকসানের মুখে পড়েছেন আলু চাষীরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, এবারে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ২৬ হাজার ৭শ’ ৯ হেক্টর জমিতে আগাম আলুর চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৪ হেক্টর জমির আলু কর্তন করা হয়েছে। আর গত বছর জেলাতে ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছিল ৭ লাখ ৪১ হাজার ২শ’ ৯৭ মে.টন। আলু চাষীরা জানান, একবিঘা জমিতে আগাম আলু উৎপাদন করতে বিঘা প্রতি ব্যয় হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু ৫/৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করে বিঘা প্রতি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৫/১৬ হাজার টাকা। এতে বিঘা প্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা। কয়েকজন চাষী জানান, গত বছর প্রতি কেজি আলু মাঠে বিক্রি হয় ২৫-৩০ টাকা আর এ বছর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫/৭ টাকা কেজি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু হোসেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পুরাতন আলুর মজুদ শেষ হলে কৃষকরা আলুর ন্যায্যমূল্য পাবে। সেই সাথে এবারে আলুর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চাষ করা আলু এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থায় আছে। চাষিদের যে কোনো পরামর্শের জন্য কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে রয়েছে।
×