ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহকারী শনাক্ত

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহকারী শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহকারীকে শনাক্ত করতে পেরেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান গোয়েন্দা বিভাগ। ডিভাইস সরবরাহের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে’। প্রাথমিকভাবে চার জনের নাম পেয়েছেন তারা, তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ফাঁস হওয়া প্রতিটি প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হতো ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকায় আর লেনদেন হতো ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। অভিযান পরিচালনা করে অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও পরীক্ষার্থীদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস পৌঁছে দেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকায় গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানে ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে। যেখানে বহিষ্কৃত এক সরকারী কর্মকর্তা এবং এক নারী ভাইস চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সময় গ্রেফতার করা হয় তিন পরীক্ষার্থীকেও। মূলত এই চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বহিষ্কৃত ওই সরকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান আজাদ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেফতারকৃত মাহমুদুল হাসান আজাদ প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি নিজেই ডিভাইস সংগ্রহ করতেন, আর তিনি যাদের মাধ্যমে ডিভাইস সংগ্রহ করতেন তাদের সম্পর্কে তদন্ত করা হচ্ছে। ডিভাইসগুলো সংগ্রহ করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া চাকরিপ্রার্থীদের হাতে এসব ডিভাইস পৌঁছে দিতেন তিনি। বেশ কয়েকটি ভাগে চলছিল তাদের এই প্রশ্নফাঁস এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে অপতৎপরতা। গ্রেফতারকৃত নোমান সিদ্দিকী পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ এবং উত্তরপত্র সাপ্লাই করত। তার ছিল একটি টিচার্স প্যানেল। অন্যদিকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরীন রুপা বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রার্থী সংগ্রহ করে টাকা পয়সায় বনিবনা হলে আজাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিত এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিভাইস সরবরাহ করত। এ ছাড়া গ্রেফতারকৃত নোমান সিদ্দিকী এবং অন্য আসামি আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসানের কাজ ছিল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করা।
×