ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আমার সঙ্গে বা আমার পক্ষ থেকে যদি অন্য কাউকে যেতে হয়, আমরা রাজি আছি। কথা বলা যাবে না এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষার্থীদের দাবি তো পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে দাবি ছিল এক রকম এখন তা পরিবর্তন হয়েছে। এখন তাদের দাবি যৌক্তিক কি না, বাস্তবায়নযোগ্য কি না তা তো আলোচার বিষয়। তাই আলোচনার কোন শেষ নেই বলে আমি মনে করি। শনিবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রীর ফুলার রোডের বাসভবনে শাবি শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে কাফন মিছিল করেছে শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ক্যাম্পাসের গোলচত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চেতনা একাত্তর হয়ে পুনরায় গোলচত্বরে শেষ হয়। শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের বিভিন্ন প্রতিনিধির মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শুক্রবার কথা বলেছিলাম, ভার্চুয়ালি সেখানেও আমরা বলেছি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যায় কি না। তখন তারা খুবই উৎসাহের সঙ্গে বলেছিলেন, আমরা যখন যেভাবে বলব তখনই আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। এর প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম আপনারা আজকে বা কালকে আসেন তখন তারা বলেছিলেন না আমরা আজকেই আসতে চাই আপনি যদি সন্ধ্যায় সময় দেন। তখন আমি বলেছি আপনারা যদি আসেন অবশ্যই সময় দেব। তারা এক ঘণ্টার মধ্যে জানাতে চাইলেন কারা কারা আসবেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মধ্যে জানালেন তারা ভার্চুয়ালি কথা বলতে চান। কিন্তু ভার্চুয়ালি সব আলোচনা ঠিকভাবে হয় না। কিন্তু আমি আমার পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে নিজে যেতে পারছি না এই মুহূর্তে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হয় ভার্চুয়ালি কথা বলবেন না হলে আমাকে যেতে হবে। কালকেই আমি বলেছিলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যদি শিক্ষক সমিতির নেতারা আসেন তাহলে খুব ভাল হয়। শিক্ষার্থীরা আসেননি কিন্তু শিক্ষক নেতারা এসেছেন। যেহেতু তারা এসেছেন কষ্ট করে আমি সময় দিয়েছি। আর এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানও এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতিসহ ৩ জন উপস্থিত রয়েছেন। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুটা সমস্যা থাকলেও গত চার বছরে কোন জটিলতার কথা শোনা যায়নি। কিন্তু বর্তমান সময়ে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আসলেই অনাকাক্সিক্ষত। সমস্যা থাকলে সমাধানও থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে যেকোন সমস্যা সমাধান সম্ভব। এখানে আসা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে যেটুকু বোঝা গেছে তাতে মনে হলো গত কয়েকদিন যাবত তারাও চেষ্টা করেছেন আলোচনা করার কিন্তু যারা আন্দোলন করছেন তাদের আশপাশে এমন কিছু লোকের উপস্থিতি রয়েছে যার কারণে তারা হয়তো সফল হতে পারেননি। গত দেড় বছর শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। এখন যদি এভাবে আন্দোলনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে খুবই দুঃখজনক। তাই আমি তাদের আহ্বান জানাব আলোচনায় বসার জন্য। শিক্ষার্থীদের যদি কোন যৌক্তিক দাবি থাকে তা নিশ্চয়ই বিবেচনা করা হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য দ্বার সব সময় উন্মুক্ত। শিক্ষকদের কাছে তাদের শিক্ষার্থীরা সন্তানতুল্য। শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা যেমন অনভিপ্রেত কোন আচরণ চায় না তেমনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক সময় কিছু ব্যবহার মেনে নিতে পারে না। আমরা তো ক্যাম্পাসে ছিলাম না তাই কোন্ ঘটনার পর কোন্ ঘটনা ঘটেছে তা আমরা জানি না। আজকে আসা শিক্ষকদের কাছ থেকে বাস্তব চিত্র জানলাম। তারা বলেছেন, শিক্ষার্থী বা হয়তোবা বহিরাগতরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছে বা আঘাত-প্রতিঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এগুলো তো কোনকিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় গত ৪ বছরে বিভিন্ন ঘটনায় সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে তা কোনভাবেই নষ্ট হয়ে যাক তা কেউ চাইবে না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া কারও ইন্ধন আছে কি না বা কেউ জড়িত আছে কি না জানি না। তবে আমরা চাই না আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যহানি হোক। অনশন যদি প্রত্যাহার নাও করে যেকোন সমস্যা সমাধানের অন্যতম পথ আলোচনা। তাই তাদের আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় তিনি চলমান ইস্যুতে বহিরাগত কারও ইন্ধন রয়েছে কি না তা খুঁজে বের করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। বৈঠকে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী সাহার নেতৃত্বে পাঁচজন শিক্ষক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। স্টাফ রিপোর্টার সিলেট থেকে জানান, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ক্যাম্পাসের গোলচত্বর থেকে কাফন মিছিল করে শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চেতনা একাত্তর হয়ে পুনরায় গোলচত্বরে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর দিকে গেলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ কারণেই তারা বাধ্য হয়ে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিলের সিদ্ধান্ত নেন। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের এক দাবি, ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণ দিয়ে দেবে তবু আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না। ইতোমধ্যে অনশনরত অনেক শিক্ষার্থী মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তবু তারা অনশন ভঙ্গ করেননি। শিক্ষার্থীরা জানান, শাবির পরিস্থিতি এবং তাদের দাবির কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তারা এই সমস্যা সমাধানের আবেদন জানাচ্ছেন। এদিকে, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের মাধ্যমে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের ঢাকায় গিয়ে আলোচনার প্রস্তাব পাঠান। শিক্ষার্থীরা মন্ত্রীর এই প্রস্তাবে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানায়, অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থায় সহযোদ্ধাদের ফেলে তাদের ঢাকায় যাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য তারা শিক্ষামন্ত্রীকে ভিডিওকলে আলোচনার প্রস্তাব দেয়, অথবা শিক্ষামন্ত্রী শাবিতে এসে তাদের অবস্থা দেখার আমন্ত্রণ জানায়। শিক্ষার্থীদের এই প্রস্তাবে শিক্ষামন্ত্রী তাদের ফের ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তাব দেন। ১৬ জনই মেডিক্যালে ॥ উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে যোগ দেয়া আরেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে অসুস্থ অবস্থায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমরণ অনশনরত ২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জনই মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ১৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইয়াছির সরকার বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন কর্মসূচীর মাঝেই আমরা কাফনের কাপড় পরে মৌনমিছিল করেছি। আমাদের ২৩ ভাইবোন ৭২ ঘণ্টা ধরে না খেয়ে আছে। এরপরও এই নির্লজ্জ (ফরিদ উদ্দিন আহমেদ) উপাচার্যের পদ থেকে সরছে না। তাই আজ থেকে তার নাম ‘বিশ্ব বেহায়া দি সেকেন্ড’। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাদিয়া বলেন, ‘আমাদের অনশনরত ভাইবোনেরা অনেক কষ্ট করছে। আমাদের কাফন মিছিলের প্রধান কারণ হলো, এখনও এই উপাচার্য পদত্যাগ করছে না, সে জন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আরও কর্মসূচী নেয়া হবে। এ ছাড়া উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংহতি ॥ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সিলেটে প্রতীকী অনশন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই প্রতীকী অনশন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অনশনে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনশনরতদের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটের দিকে যাচ্ছে ॥ অনশনরতদের শারীরিক অবস্থা প্রথম দিন থেকেই পর্যবেক্ষণ করে সেবা দিচ্ছে বিভিন্ন মেডিক্যাল টিম। এমনই এক টিম ‘এসএমসি’র ডাক্তার মোঃ মুসতাকিম শনিবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিং করে অনশনরতদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন। তিনি এ সময় বলেন, অনশনরতদের বেশিরভাগের অবস্থা খারাপ। তাদের মধ্য থেকে ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বাকিদের প্রায় সবাইকেই স্যালাইন দিতে হচ্ছে। ৬ দিনেও তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেনি ॥ শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গত সোমবার একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছিলেন উপাচার্য। তবে ছয় দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও শনিবার পর্যন্ত এই তদন্ত কমিটি কোন কার্যক্রম শুরু করেনি। এমনকি এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন চিঠি পাননি বলেও জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান গণিত বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার। গণঅনশন কর্মসূচীর ঘোষণা ॥ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবার গণঅনশন কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ কর্মসূচীর ঘোষণা দেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ইয়াসের সরকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের ২৩ জন শিক্ষার্থীর আমরণ অনশনের ৭৫ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এখনও পদত্যাগ না করে স্বপদে বহাল থেকেছেন। তাই আমরা সব শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ভিসির পদত্যাগের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত গণঅনশন চালিয়ে যাব। ইতোমধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী গণঅনশনে নিজেদের নাম প্রস্তাব করেছেন। তারা হলেন সামিউল সাফিন, ইফতেখার আল মাহমুদ, সামিরা ফারজানা। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সিটে স্বাক্ষর করে গণঅনশনে বসতে পারবেন। পদত্যাগের দাবিতে মোমবাতি প্রজ্বালন ॥ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার রাত পৌনে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কেন আন্দোলন শুরু করেছেন তা একটি ডকুমেন্টারির মাধ্যমে তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। ডকুমেন্টারিতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড এবং রাবার বুলেট ছুড়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
×