ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে ছয় রাস্তা এখন মরণ ফাঁদ

প্রকাশিত: ০১:৫৩, ৫ ডিসেম্বর ২০২১

বাগেরহাটে ছয় রাস্তা এখন মরণ ফাঁদ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি কাঁচা-পাকা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাগুলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এই রাস্তাগুলো মেরামত করার জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে বারবার আবেদন করলেও কোন ফল হয়নি। ফলে এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। জানা গেছে, রাখালগাছি ইউনিয়নের চুলকাটি ভায়া মাথাভাঙ্গা সড়কের মোড়লপাড়া ত্রি-মোড় থেকে সৈয়দপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গামী ইটের সলিং প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা, সৈয়দপুর দক্ষিণপাড়া শক্তি নারায়ন দাসের বাড়ির সামতে হতে স্কুল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার ইটের সলিং ও কাঁচা রাস্তা, আমির হাজরা রাস্তার মোড় হতে সৈয়দপুর ফকিরপাড়া আল মামুন টিপুর বাড়ির সামনে হতে স্কুল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, সৈয়দপুর উত্তরপাড়া মসজিদের সামনে হতে স্কুল পর্যন্ত ইটের সলিং ও কাঁচা প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা, পুটিমারি গ্রামের মেগনিসতলা মোড় হতে স্কুল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার ইটের সলিং ও কাঁচা রাস্তা ও দরি রসুলপুর গ্রাম হতে সৈয়দপুর স্কুল পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার ইটের সিলিং রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই ইটের সলিং ও কাঁচা রাস্তাগুলো এমন অবস্থা, যা নিজে চোখে না দেখলে অনুধাবন করা যাবে না। জানা গেছে, উপরোক্ত অধিকাংশ রাস্তাগুলো ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়েছে। তার পর হতে আর কোন দিন রাস্তা সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি। ফলে দুটি স্কুল মসজিদ ও মাদ্রাসায় চলাচলকারী শতশত শিক্ষক শিক্ষার্থী সীমাহীন সমস্যার মধ্যে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। কয়েক শিক্ষক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার এলজিইডি এলজিএসপি ওয়ানপার্সেন্ট বা এডিবি ফান্ড হতে গ্রাম্য রাস্তাগুলো মেরামত বা সংস্কার করলেও এই সমস্ত রাস্তার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। যে কারণে বছরের পর বছর স্থানীয় জনগণকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে অতিদ্রুত চলাচলের অযোগ্য রাস্তাগুলো মেরামত বা পিচ ঢালা রাস্তায় উন্নত করার জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
×