ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পুরো প্রকল্পের ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

আরও এগিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: ২১:০৮, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

আরও এগিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ

মোয়াজ্জেমুল হক ॥ চীনা বিশেষজ্ঞদের নিজেদের দেশ থেকে চট্টগ্রামে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে থাকার পরও পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ। আগামী বছর ডিসেম্বর মাসে এই টানেলের নির্মাণযজ্ঞ শেষ করার টার্গেট নিয়ে সকল কাজ এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে পুরো প্রকল্পের ৭৫ দশমিক ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ চৌধুরী। এদিকে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা পয়েন্ট থেকে দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা পর্যন্ত ২ হাজার ৪৫০ মিটার দূরত্বের প্রথম টিউবের লেনস্লাব কাজ শেষ হয়েছে ২ হাজার মিটার। অপরদিকে, আনোয়ারা পয়েন্ট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত দ্বিতীয় টিউবের স্কেভেশন কাজ শেষ হওয়ার পর সেই টিবিএম (টানেল বোরিং মেশিন) বের করে আনার কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে। ১৪ মিটার দীর্ঘ এবং ২২০০ টন ওজনের এ টিবিএম খন্ড খন্ড অংশে বের করে আনা হচ্ছে। গত ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় টিউবের খনন কাজ সম্পন্ন হয়। এরপর থেকে এ মেশিন বের করে আনার কাজ চলছে। প্রকল্প পরিচালক আরও জানিয়েছেন, এ মেশিন পরিপূর্ণভাবে বের করে আনার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭৫ দিন সময় নেয়। এদিকে, স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ পাড়ে চার লেনের সংযোগ সড়কের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রকল্প সূত্রে জানানো হয়েছে, এ টানেলকে ঘিরে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড় অর্থাৎ আনোয়ারা হবে একটি উপশহর। এমনিতেই আনোয়ারায় ইপিজেডসহ বড় বড় শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় আছে। টানেল নির্মাণের পর যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন যখন ঘটবে, তখন আনোয়ারার চেহারা পাল্টে যাবে নিশ্চিতভাবে। বঙ্গবন্ধু টানেলে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ চীনের। চীন থেকে বর্তমানে মাসে একটি ফ্লাইট বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ফলে প্রকল্পে যেসব অংশের কাজ শেষ হয়েছে এবং নতুন কাজ যেখানে শুরু হবে সেসব স্থানে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এরপরও দেশীয় প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এবং সহযোগিতায় টানেলের বিভিন্ন অংশের নির্মাণ কাজে চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কাজ চলছে। ফলে কাজের গতি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, প্রথম টিউবের ২০০ মিটার লেনস্লাব স্থাপন এখন দৃশ্যমান। এরপরও দুই লেন বিশিষ্ট একটি টিউবকে ফিনিশিং পর্যায়ে আনার সময় এখনও বহু বাকি। প্রথম টিউবের কাজ শেষে দ্বিতীয় টিউবের লেনস্লাব বসানোর কাজ শুরু হবে। এই টিউবেও ফিনিশিং কাজ শেষ হওয়ার পর টানেল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করার টার্গেট রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা আগামী বছরের ডিসেম্বরে টিউবের পুরো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে নিশ্চিতভাবে একথা বলতে নারাজ। কেননা, কাজের গতির ওপর নির্ভর করছে টার্গেটে পৌঁছানো। তবে তারা আশাবাদী।
×