ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

স্পেনে পতিতাবৃত্তি বন্ধের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজের

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ১৮ অক্টোবর ২০২১

স্পেনে পতিতাবৃত্তি বন্ধের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজের

অনলাইন ডেস্ক ॥ স্পেনে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ। স্থানীয় সময় রবিবার (১৭ অক্টোবর) ভ্যালেন্সিয়ায় সোস্যালিস্ট পার্টির কংগ্রেস শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। পতিতাবৃত্তি নারীদের দাসে পরিণত করে বলে মন্তব্য করেছেন সানচেজ। এর আগে, স্পেনে ১৯৯৫ সালে পতিতাবৃত্তির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের এক হিসাবে বলা হয়, দেশটির যৌন ব্যবসায় ৩.৭ বিলিয়ন ইউরোর বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০০৯ সালে করা এক জরিপে দেখা যায়, প্রতি তিন জন স্প্যানিশ পুরুষের মধ্যে এক জন টাকার বিনিময়ে যৌনতা চেয়ে থাকেন। ২০১১ সালে জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় বিশ্বে পুয়ের্তো রিকো ও থাইল্যান্ডের পর স্পেনকে পতিতাবৃত্তির তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেনে পতিতাবৃত্তি এখন অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আছে। যারা স্বেচ্ছায় যৌন সেবার জন্য অর্থ নিয়ে থাকেন সেখানে তাদের জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই, যদি না সেটি প্রকাশ্য স্থানে ঘটে থাকে। তবে যৌনকর্মী ও সম্ভাব্য ক্রেতার মধ্যে দালালি অবৈধ। বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে এই খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটে। স্পেনে প্রায় তিন লাখ নারী যৌন কর্মী হিসেবে কাজ করেন বলে সাধারণভাবে ধারণা করা হয়। ২০১৯ সালে সানচেজের পার্টি নির্বাচনি ইশতেহারে পতিতাবৃত্তি বেআইনি ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আরও বেশি নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে তখন ধারণা করা হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে পাচার করে নিয়ে আসা নারীদের পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সালে স্পেনের পুলিশ পাচারবিরোধী অভিযানে ১৩ হাজার নারীকে শনাক্ত করেছিল, তৃতীয় একটি পক্ষ এদের অন্তত ৮০ শতাংশকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যবহার করছিল বলে তখন জানানো হয়েছিল।
×