ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবীণরা গুরুত্ব পাক

প্রকাশিত: ২১:০৩, ১৪ অক্টোবর ২০২১

প্রবীণরা গুরুত্ব পাক

জাতিসংঘের ঘোষণা ও বাংলাদেশ প্রবীণ নীতি অনুসারে ৬০ বা তদূর্ধ্ব নাগরিকদের প্রবীণ বলা হয়। তবে একটি নির্দিষ্ট বয়স হলেই সমাজ একটি মানুষকে প্রবীণের কাতারে ফেলে দেয়। ফলে ওই ব্যক্তিও একসময় নিজেকে প্রবীণের কাতারে গুটিয়ে নেয়। প্রবীণরা সমাজে অবহেলিত, আতঙ্কিত এবং আশঙ্কাগ্রস্ত। কথা বলতে চাই, কিন্তু শোনার কেউ নেই- এমন বাক্য কেবল প্রবীণদের বেলায়ই খাটে। পরিবার থেকে দায়মুক্ত হলেই আমরা আমাদের মাতা-পিতা কিংবা যে কাউকে প্রবীণদের কাতারে রেখে দেই। সেখান থেকেই তাদের ভাবনায় জাগে তারা আসলেই বয়সের পাল্লায় নুয়ে পড়েছেন। আমাদের সমাজে প্রবীণরা প্রায়শই অবহেলিত। তারা একাকিত্বে ভোগেন, দারিদ্র্যের চক্রে আবদ্ধ। সব মিলিয়ে একটা পর্যায়ে তারা বিপদাপন্ন হয়ে পড়েন। প্রবীণ বয়সে বৃহদাংশই পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েন। পরনির্ভরশীল জীবনেই যত আশান্তি। ওই বয়সে তারা প্রায়শই নানা সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে, সমাজে এক প্রকার গুরুত্বহীনতায় ভোগেন তারা। শুধু তাই নয়, তারা পরিবারেও অবহেলার শিকার হন। অনেক পরিবারে তাদের কেবল বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় জল-পানি দিয়েই জিইয়ে রাখেন। তাদের মানসিক দিক নিতান্তই অবহেলিত। সর্বশেষ বৃদ্ধাশ্রমেও স্থান হচ্ছে অনেক প্রবীণ পিতা-মাতার। হেল্প এইজ ইন্টারন্যাশনালের এইজওয়াচ ইনডেক্স ইনসাইট রিপোর্ট ২০১৫ অনুসারে বিশ্বে প্রায় ৯০১ মিলিয়ন প্রবীণ মানুষ আছেন। ২০১৯ সালে একটি পত্রিকার আয়োজনে প্রবীণ অধিকার বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে উঠে আসে, বাংলাদেশে প্রবীণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ। ২০৫০ সাল নাগাদ বয়স্ক মানুষের সংখ্যা আরও ব্যাপকভাবে বাড়বে। এতে আরও উঠে আসে, বিশ্বব্যাপী ৪৭ শতাংশ প্রবীণ পুরুষ ও ২৪ শতাংশ প্রীবণ নারী অনানুষ্ঠানিক শ্রমশক্তিতে অবদান রাখছেন। বাংলাদেশে এ সংখ্যা ৬৪ শতাংশ। সুতরাং সুযোগ এবং গুরুত্ব পেলে প্রবীণ রাও যুবকদের সঙ্গে দেশ ও সমাজ নির্মাণের পাশাপাশি বৈশ্বিক উন্নয়নেও অংশীদার হতে পারেন দিব্যি। গুরুত্ব পাক প্রবীণ সমাজ, নিশ্চিত হোক অধিকার। সরকারী তিতুমীর কলেজ, ঢাকা থেকে
×