ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুইব্যাক হয়ে আসা দুই রোহিঙ্গাকে কুতুবপালং শরনার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

পুইব্যাক হয়ে আসা দুই রোহিঙ্গাকে কুতুবপালং শরনার্থী ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে পুইব্যাক হয়ে আসা রোহিঙ্গা দুই নারী পুরুষকে আজ সোমবার দুপুরে পাটগ্রাম থানা পুলিশ কক্সবাজার কুতুবপালং রোহিঙ্গাক্যাম্পে ফিরত পাঠানো হয়েছে। পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র শনিবার রাতে পাটগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশনে গভীর রাতে স্থানীয় বখাটে যুবকদের হাত হতে রোহিঙ্গা নারী সেতুফা (১৮) ও যুবক আনাস (২২) কে উদ্ধার করে নিজ আশ্রয়ে রাখে। গতকাল রবিবার সকালে পাটগ্রাম থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আজ রবিবার দুপুরে উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে কক্সবাজার থানায় প্রেরণ করে। তারা থানা পুলিশের মাধ্যমে পুনরায় কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় পাবে। থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প হতে ১৭ সেপ্টেম্বর পালিয়ে দালালের মাধ্যমে তিন বিঘা করিডর ওপারে দহগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়। তারা নেপালে যেত। নেপালে তাদের কাজিন থাকে। এ সময় ভারত- নেপাল সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের হাতে আটক হয়। বিএসএফ তাদের অমানসিক নির্যাতন করে পুনরায় একই সীমান্তে শনিবার গভীর রাতে গোপনে পুইব্যাক কওে বাংলাদেশে। নিরুপায় হয়ে তারা পুনরায় কুতুপালং ক্যাম্পে ফিরে যেতে পাটগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশনে শনিবার গভীর রাতে আশ্রয় নেয়। সেখানে যুবতীটি বখাটে খপ্পরে পড়ে যায়। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে রোহিঙ্গা দুই নারী ও পুরুষ মায়ানমারের মুন্ড জেলার কুরহালি থানার নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্ধা । তারা ২০১৭ সালে মা, বড় ভাই সহ বাংলাদেশে পালিয়ে শরনার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। দুই রোহিঙ্গার পরিচয় মিলেছে সেতুফা বেগম (১৮), বাবা ওসমান গণি, মা নোয়ারা বেগম। বর্তমান ঠিকানা মুন্সীপাড়া ২২ নং ক্যাম্প, টেকনাফ, কক্সবাজার । অপরজন আনাস (২২), বাবার মোঃ ইলিয়াস, মা দিনুয়াছ, সাং-নয়াপাড়া, থানা-কুরহালি, জেলা মন্ডু। বর্তমান ঠিকানা মুন্সিপাড়া ২২ নং ক্যাম্প, টেকনাফ, কক্সবাজার। এদিকে যুবতী দাবি করেছে সীমান্তে মানবপাচারের দালালরা গণ ধর্ষণ করেছে। পাটগ্রাম পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট জানান, তাদেও মানবিক কারণে উদ্ধার কওে রাতে আশ্রয় দিয়ে ছিলাম। পওে সকালে থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে সোর্পদ করি। পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) ওমর ফারুক জানান, মেয়র তাদেও থানায় সোপর্দ করে। পরে দুই রোহিঙ্গা যুবক - যুবতীকে পুনরায় পুলিশ হেফাজতে কক্সবাজার ক্যাম্পে ফিরত পাঠানো হয়েছে।
×