ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক ॥ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।প্রতারণার অভিযোগে গুলশান থানার মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। গুশলান থাকা কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের দুজনকে র্যাব আজ থানায় হস্তান্তর করেছে। দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠান হচ্ছে। এক গ্রাহকের করা এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, রাসেল ও শামীমাকে হস্তান্তরের সময় দুটি মোবাইল এবং ব্যবসার চুক্তিনামার কয়েকটি নথি আলামত হিসেবে দিয়েছে র্যাব। আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার ভোরে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। পণ্যের জন্য আগাম অর্থ দিয়ে না পাওয়ার পাশাপাশি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ করা হয় সেখানে। মামলার বাদী আরিফ বাকের তার অভিযোগে বলেন, ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে তিনি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পণ্যের ব্যাপারের ইভ্যালির অফিসে এবং পরে সিইও মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। ওই মামলা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকালে মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে র্যাব। রাতে র্যাব সদরদফতরে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার উত্তরায় র্যাব সদরদফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিপুল সংখ্যক গ্রাহক তৈরি করে ইভ্যালির ‘ব্র্যান্ডভ্যালু’ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল রাসেলের। সেই ব্র্যান্ডভ্যালু কাজে লাগিয়ে তিনি কোনো বিদেশি কোম্পানির কাছে দায়সহ ব্যবসা বেঁচে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। “তিনবছর পূর্ণ হলে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে দায় চাপানোরও পরিকল্পনা ছিল তার। আর দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে কোম্পানি দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল।” ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়েছে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি।
×