ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সামাদ মাস্টার হত্যা মামলার রায়

শরীয়তপুরে ৪ আসামির মৃত্যুদন্ড, নয়জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ২২:০৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

শরীয়তপুরে ৪ আসামির মৃত্যুদন্ড, নয়জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর ॥ ১১ বছর আগে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী শরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ মাস্টার হত্যা মামলার রায়ে ৪ জনের মৃত্যুদ- ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোঃ মনির কামাল এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন চাঁন মিয়া খান, নুরুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীর মাদবর ও জুলহাস মাদবর। মৃত্যুদন্ডের পাশিপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অপরদিকে আব্দুল হালিম মোল্যা, ফারুক খান, আজিজুর মাদবর, জলিল মাদবর, আজাহার মাদবর, লাল মিয়া মীর, মিজান মীর, এমদাদ মাদবর ও আক্তার গাজীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছেন আদালত। এদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং আনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাভোগের আদেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আজিবর বালি, খোকন বেপারি, সোহরাব মোল্লা, আজাহার মোল্লা ও আব্দুল খন্দকারকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবর রহমান জানান, তারা এ মামলার রায়ে খুশি হয়েছেন। মামলাটির বিচারকালীন আসামি হাসান খান মৃত্যুবরণ করেছেন। ঘটনার সময় যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আব্দুল হালিম মোল্লা শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং খালাস পাওয়া আজিবর বালি মাদারীপুর সদরের ছিলারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। বরিশালে দুজনের ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীবন ॥ স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, চাঁদার দাবিতে জেলার উজিরপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র সোহাগ সেরনিয়াবাতকে হত্যার ৭ বছর পর মামলার দুই আসামির ফাঁসি এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। একই মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড পাওয়া আসামিরা হলো- উজিরপুরের সন্ত্রাসী দাদা বাহিনীর প্রধান জিয়াউল হক লালন ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রিয়াদ সরদার। যাবজ্জীবন কারাদন্ড হওয়া আসামিরা হলো- মামুন, ইমরান, বিপ্লব ও ওয়াসিম সরদার। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী এটিএম আনিসুর রহমান বলেন, নিহত সোহাগ উজিরপুর পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। এলাকায় তার একটি পোশাকের দোকান ছিল। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে আসামিরা উজিরপুরের রাখালতলা এলাকায় সোহাগকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগে বিভিন্ন সময় সোহাগের কাছে আসামিরা এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পাওয়ার সোহাগের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরসহ সোহাগকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মামা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মিশু হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, স্কুলছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু (১৪) হত্যা মামলায় আব্দুল হাদি (৩১) নামের একজনকে মৃত্যুদন্ড ও পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় বুধবার বিকেলে এই রায় প্রদান করেন। নিহত মিশু পাবনা শহরের শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মহসিন আলম ছালামের ছেলে ও পাবনা কালেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ভোলায় যুবকের আমৃত্যু কারাদন্ড ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে রাতের আঁধারে ঘুমন্ত দুই বোনের ওপর এসিড নিক্ষেপ ও এসিডে ঝলসে বড় বোন তানজিম আক্তার মালার মৃত্যুর ঘটনায় মহব্বত হাওলাদার অপু নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২টি ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বুধবার বিকেলে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরুল আলম মোহাম্মদ নিপু এ রায় দেন।
×