ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাবুলে মার্কিন হামলায় নিহতের স্বজনরা মামলা করবেন

প্রকাশিত: ২১:২১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

কাবুলে মার্কিন হামলায় নিহতের স্বজনরা মামলা করবেন

আফগানিস্তান ছেড়ে আসার সময় সর্বশেষ মার্কিন হামলায় গত ২৯ আগস্ট ৭ শিশুসহ ১০ জন বেসামরিক আফগান নিহত হন। হামলার পর পেন্টাগন জানিয়েছিল, সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) সদস্যদের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীও রয়েছেন। কিন্তু পরে জানা যায়, ওই হামলায় নিহতরা কেউ আইএস সদস্য ছিলেন না। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়। হামলায় সপরিবারে নিহত জামারি আহমাদি ছিলেন মার্কিন একটি ‘এইড’ ও ‘লবিং’ গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ার। শুধু তাই নয়, কয়েক হাজার আফগান শরণার্থীর মতো তিনিও আমেরিকায় আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই তার ওপর ড্রোন হামলা চলে। নিহত প্রকৌশলীর ভাই আয়মল জানিয়েছেন, তার নিরপরাধ ভাই ও তার শিশু সন্তানসহ ১০ সদস্যকে ড্রোন হামলায় হত্যা করার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি। মামলায় তিনি তার নিরপরাধ স্বজনদের হত্যার বিচার এবং ক্ষতিপূরণ চাইবেন। মার্কিন হামলায় নিহতদের মধ্যে ৩ বছরের মেয়েও ছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএস নয়, ভুল করে মার্কিন বাহিনী কাবুলের বাসিন্দা জামারি আহমাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করেছিল। ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ার চিহ্ন দেখা গেছে। সেখানে বিস্ফোরকের ধাক্কায় কোন কিছু ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্য নেই। আয়মল আহমাদি নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, তার ভাই জামারি আহমাদি তখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িতে ছিল আয়মলের ছোট মেয়ে ও তার ভাইয়ের দুই সন্তান। সেই গাড়িতে হামলা চালায় মার্কিন ড্রোন।
×