ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় ডাউন সিনড্রোম পরিবারের জরুরী সহায়তা প্রয়োজন

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১ আগস্ট ২০২১

করোনায় ডাউন সিনড্রোম পরিবারের জরুরী সহায়তা প্রয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোভিড-১৯ এ ডাউন সিনড্রোম পরিবারের অভিভাবকদের প্রায় সবাই কর্মসংস্থানের ঝুঁকির মধ্যে আছে। বিভিন্ন সেবার অপ্রতুলতার পাশাপশি আর্থিক সঙ্কট খুবই বেশি। এ অবস্থায় সমস্যা মোকাবেলায় সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের জনগোষ্ঠীর মতো ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের আয়-কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা উচিত। শনিবার ডিআরআরএ-এর নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান। ডিআরআরএ-এর এ্যাডভোকেসি এ্যান্ড কমিউনিকেশন এ্যাডভাইজার স্বপনা রেজার সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে ৫৪ শতাংশ শিশু মাঝারি স্তরের ক্ষতিগ্রস্ততার মধ্যে রয়েছে। ডাউন সিনড্রোম প্রায় ৯৭ শতাংশ শিশুদের দৈনন্দিন জীবন-যাপনের জন্য কেয়ারগিভারদের ওপর নির্ভরশীল। ৩০ শতাংশের বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত ওষুধের প্রয়োজন হয়। তিন শতাংশ শিশুদের কার্যকরী গতিশীলতার জন্য সহায়ক ডিভাইসের প্রয়োজন হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ডাউন সিনড্রোম আছে এমন ৬০ শতাংশ পরিবারের মাসিক উপার্জন ১০ হাজার টাকা এবং তার চেয়ে কম এবং ১৫ শতাংশ পরিবার ১০-১৫ হাজারের মধ্যে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি তাদের ভবিষ্যত জীবন-যাপনকে আরও ঝুঁকির মাঝে ফেলেছে। এদের মূলধারার শিক্ষা বা আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কেবল ৩ শতাংশ শিশু নথিভুক্ত আছে এবং ১৫ বছর বা তার অধিক বয়সী ৯৭ শতাংশ বা প্রায় প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত যত্ন, নিতে পারে না তাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। সমীক্ষায় দেখা যায়, ডাউন সিনড্রোম শিশু ও যুবদের প্রায় ৬৭ শতাংশ তাদের ডাউন সিনড্রোম আছে কিনা তা নিশ্চিতকরণ পরীক্ষা হয়েছিল শুধু লক্ষণের ওপর নির্ভর করে এবং বাকি ৩৩ শতাংশের কোন পরীক্ষা হয়নি। সম্প্রতি ডিজএবলড রিহ্যাবিলিটেশন এ্যান্ড রিসার্চ এ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) বাংলাদেশের ৮টি জেলার ১০টি উপজেলায় উদ্দেশ্যমূলক নমুনায়ন কৌশল ব্যবহার করে ৩০০ জন ডাউন সিনড্রোম (০-২৫ বছর)-এর ব্যক্তির মধ্যে এক জরিপ করে জরিপে এ তথ্য প্রকাশ পায়।
×