ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

টেকসই উন্নয়নের সমতাভিত্তিক আইনী কাঠামো অপরিহার্য ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:১৫, ২১ জুন ২০২১

টেকসই উন্নয়নের সমতাভিত্তিক আইনী কাঠামো অপরিহার্য ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে কোন দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনী কাঠামো অপরিহার্য। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যান্য লক্ষ্যের সঙ্গে বৈষম্যহীন আইন ও নীতি প্রয়োগ বিষয়ক লক্ষ্য ১৬ (বি) বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের উদ্যোগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ আয়োজিত লেজিসলেটিভ রিসার্চ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, এসডিজির গোল- ১৬(বি) বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এর অংশ হিসেবে আইনী গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহ্নিতকরণপূর্বক উহা সংস্কার বিষয়ক প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৭৯৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রণীত ১২৮৬টি আইনে কোন বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে কিনা তা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিতকরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ/বিভাগকে গবেষণার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজ তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেছেন। গবেষণার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন আইনের বৈষম্যমূলক বিধান, বৈষম্যের বিভিন্নরূপ, যেমন- লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য, ভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে বৈষম্য, প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য ইত্যাদির স্বরূপ উদঘাটনপূর্বক বেশকিছু সুপারিশ প্রদান করেছেন। আইন মন্ত্রণালয় এসব সুপারিশ বিশ্লেষণ করবে যাতে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনয়ন করা যায়। এছাড়া সরকার বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে এসব সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। অন্যান্য সরকারের সময়ে বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের বিষয়ে গবেষণার জন্য বিশেষ কোন অর্থ বরাদ্দ না থাকার কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তিনি গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা কখনও কখনও দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করি যে, কেউ কেউ আইন বিষয়ে গবেষণা এবং ভালভাবে পড়াশুনা ছাড়াই আইন সম্বন্ধে কথা বলে থাকেন, আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। আইন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে বিষয়ে ভালভাবে পড়াশুনা ও গবেষণা না করে ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। দিলে জনগণ বিভ্রান্ত হন। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বক্তব্য রাখেন।
×