ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪ দশক পূর্তি দিবস

প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় সারা দেশে দোয়া প্রার্থনা

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৮ মে ২০২১

প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনায় সারা দেশে দোয়া প্রার্থনা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া, প্রার্থনা, মিলাদ মাহফিল, দুস্থদের মধ্যে খাবার ও করোনা সামগ্রী বিতরণ, আলোচনা সভা, তথ্যচিত্র প্রদর্শনীসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সোমবার ঢাকাসহ সারাদেশে পালিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশক পূর্তি দিবস। এছাড়া ঢাকাসহ সারাদেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়েছে। এসব কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেছেন, ঐক্য ও আদর্শের আলোকবর্তিকা হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য একজন অপরিহার্য সফল নেতার নামই হচ্ছে শেখ হাসিনা। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, এই দীর্ঘ পথে যেতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার আদরের দুলালী পায়ে আঘাত, বুকে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। কিন্তু তিনি থামেননি। তিনি সব সময় মনে রেখেছেন- ‘আমি ক্লান্ত না, শান্ত না। আমি এই জীর্ণ পায়ে জয়ের পথে আমি হানা দেব।’ সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়য়া। সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদ, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারী টেলিভিশনে ‘হাসিনা : এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামা প্রচারিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাঙালীকে তাঁর সূর্যালোকের দিগন্তে নিয়ে যাবে। অভীষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাবে। তাই বাংলাদেশ আজকে নি¤œ আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে গেছে। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হব। সেই শক্তির পাথেয় বঙ্গবন্ধুর বাণীকে সম্বল করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অবশ্যই সূর্যালোকিত দিনের দিকে এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, আজকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তার প্রমাণ আমরা সবকিছুতেই পাই। কিন্তু আমরা একটা কথাই বলিÑ কুকুররা ঘেউ ঘেউ করবে কিন্তু কাফেলা এগিয়ে যাবে। তারা ষড়যন্ত্র করে কিছু করতে পারবে না। আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা জীবনে ২১ বার মৃত্যুকে তুচ্ছ মনে করে তিনি এই জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজকে করোনার সময় একাই লড়াই করে একটি দেশকে কি করে নেতৃত্ব দিতে হয়, কি করে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়- পৃথিবীর নেতৃত্বকে তিনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। সরকাররবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ তিনি বলেন, ওরা শেখ হাসিনাকে ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু তারা জানে না শেখ হাসিনা ভেঙ্গে যাবে কিন্তু মচকাবে না। আওয়ামী পরিবারের একটা সদস্য বেঁচে থাকতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র আমরা হতে দেব না। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের জন্য অপরিহার্য-নাছিম ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঐক্য ও আদর্শের আলোকবর্তিকা হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আজ থেকে ৪০ বছর আগে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে, রাজনৈতিক জীবনে ভয়াবহ দুর্দশা ছিল। দেশে কোন গণতন্ত্র ছিল না। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল, ৩ নবেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এ দুটি ঘটনা একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় ঘটেছে। তখন দেশ এবং আওয়ামী লীগ করুণ অবস্থায় ছিল। তিনি বলেন, তখন ঐক্যের প্রতীক হিসেবে, আদর্শের প্রতীক হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা আলোর দিশারি হয়ে দেশে আসেন। তিনি এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের মানুষকে জাগরিত করেছেন, ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে না এলে আমরা এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না। সেদিন তিনি দেশে আসায় আমরা স্বপ্ন দেখতে পেরেছি। শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, ম আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ। অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক শেখ হাসিনা- সুজিত ॥ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক চেতনার একমাত্র প্রতীক। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে দেশে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে থাকে। তিনি দেশকে এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তাই সবার মুখে এখন একই স্লোগান- শেখ হাসিনার হাতে থাকলে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে আয়োজিত বিশেষ প্রার্থনা সভায় তিনি একথা বলেন। বিশেষ প্রার্থনা সভায় পংকজ দেবনাথ এমপি, সাংবাদিক স্বপন সাহা, কাজল দেবনাথ, জে এল ভৌমিক, কিশোর ম-লসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগের দোয়া ও মিলাদ ॥ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা খুনী জিয়াউর রহমানের ষড়যন্ত্র এবং সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলেই অন্ধকার থেকে আলোর পথে ধাবিত হয়েছিল বাংলাদেশ। তিনি এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যুবলীগ আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং দুস্থদের মধ্যে রান্নাকরা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে, দেশকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করবে, যুবলীগের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে যুবলীগ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মাস্ক, হ্যান্ডস্যানিটাইজার, সাবানসহ করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রয়োজনীয় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ১৬-১৭ মে দুই দিনব্যাপী ‘তথ্যচিত্র প্রদর্শনী’ কর্মসূচী আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। বিএসএমএমইউ ॥ দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফলদ, বনজ ও ফুলের চারা রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। পরে শহীদ ডাঃ মিল্টন হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম। উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএ মহাসচিব ডাঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ। শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর বাধা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। বুড্ডিস্ট ফেডারেশন ॥ দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেড়ারেশন বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, শেখ হাসিনার গতিশীল ও ধারাবাহিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এসময় ফেড়ারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মৎস্যজীবী লীগ ॥ দিনটি উপলক্ষে ১৯, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে (নিচ তলায়) সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সায়ীদুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি গিয়াস খান, মোহাম্মদ ইউনুস, ড. মমতাজ খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী শফিউল আলম শফিক, দপ্তর সম্পাদক এমএইচ এনামুল হক রাজু প্রমুখ। শেখ হাসিনা না ফিরলে কিছুই সম্ভব হতো না- রাদওয়ান মুজিব ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশকে ‘অন্ধকার থেকে আলোর পথে’ এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতির পিতার দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। আওয়ামী লীগ সভাপতি হয়ে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৪০ বছর পূর্তির দিনকে স্মরণ করে সোমবার নিজের ফেসবুক এ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। রাদওয়ান লিখেছেন, ‘৪০ বছর আগের এই দিনে, আপনি বাংলাদেশকে অন্ধকার যুগ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন এবং আপনার আলোয় আলোকিত হয়ে দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দেখেছে এবং মানুষ মানসম্মত জীবন ব্যবস্থা পেয়েছে। এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে আমাদের, কিন্তু এর কিছুই সম্ভব হতো না, যদি না আপনি ফিরে আসতেন। ধন্যবাদ আপনাকে।’ খবর বিডিনিউজের। এই পোস্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল ৪০ বছর আগে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন শেখ হাসিনার ছবিসহ ছাপানো একটি পোস্টার, যেখানে লেখা আছে- ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ১৭ই মে রবিবার বিকাল ৩টায়, ঢাকা বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা।’ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় দেশের বাইরে ছিলেন দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ছয় বছর লড়াই শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার সুযোগ পান শেখ হাসিনা। বাবার মৃত্যুর পর জাতির পিতার মেয়ে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত যে কষ্টে জীবন-যাপন করেছেন, তা তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে সমাদৃত ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ ডকুড্রামায়। এই ডকুড্রামার প্রযোজকও রাদওয়ান মুজিব।
×