ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া দিয়ে ঢাকায় ডুকতে ভিড় ॥ ১৮ফেরি চলছে

প্রকাশিত: ১৭:২১, ১৭ মে ২০২১

শিমুলিয়া দিয়ে ঢাকায় ডুকতে ভিড় ॥ ১৮ফেরি চলছে

সংবাদদাতা, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া সংলগ্ন শিমুলিয়াঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। প্রচন্ড গরম, মাথার উপর খাঁ খাঁ করছে সূর্য যাত্রীদের অত্যাধিক চাপের মধ্যেই কয়েক ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে ব্যাগেজ, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্থ প্রবেশপথ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজে যোগদানের লক্ষ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটছেন কর্মস্থলের দিকে। আবার ঈদ উপলক্ষে যারা গ্রামে যাননি তাড়াও গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। মানুষের যাওয়া-আসায় কর্মব্যস্থ হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া ফেরিঘাট। ঢাকাগামী যাত্রীদের অভিযোগ, শিমুলিয়াঘাটে আসার পর পরিবহণ সংকটে পড়তে হচ্ছে তাদের। মোটরসাইকেল, সিএনজি-চালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশাই ঢাকায় যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম। আর সেই সুযোগে চালকরা কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছেন। শিমুলিয়া ঘাটসূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় শিমুলিয়াঘাট থেকে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ফেরিগুলোয়। যাত্রীদের চাপে এই নৌপথে চলাচল করছে ১৮টি ফেরি। ফেরি থেকে নামার পরে তিন থেকে চার গুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন যাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, এ নৌপথে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদে যে সংখ্যক মানুষ বাড়ি গিয়েছিলেন সেই তুলনায় স্বাভাবিকভাবে তারা ঢাকায় ফিরছেন। শিমুলিয়াঘাট থেকেও যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যানবাহনের চাপ নেই। যেসব গাড়ি আসছে সেগুলো সরাসরি ফেরিতে যেতে পারছে। কয়েকটি খালি ফেরিও পাঠানো হয়েছিল শুধু যাত্রীদের আনার জন্য।
×