ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আস্থা ভোটে হেরেও ফের নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন ওলি

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ১৪ মে ২০২১

আস্থা ভোটে হেরেও ফের নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন ওলি

অনলাইন ডেস্ক ॥ পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর আবারও নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। বিরোধী দলগুলো সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পান তিনি। বৃহস্পতিবার তাকে পুনরায় নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভান্ডারি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত সোমবার নেপালের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। গত মার্চে ক্ষমতা বন্টন নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ে ওলির কমিউনিস্ট পার্টি। দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে না পারার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। ২৩২ আইনপ্রণেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৯৩টি ভোট পড়ে এবং বিপক্ষে পড়ে ১২৪টি ভোট। ১৫ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেপালের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভান্ডারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওলিকে পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন। নেপালের সংবিধানের ৭৮(৩) ধারা অনুযায়ী পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দলের নেতা হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুক্রবার ওলিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রেসিডেন্ট। গত সোমবার কেপি শর্মা ওলি আস্থা ভোটে হারার পর বৃহস্পতিবার রাত নয়টার মধ্যে বিরোধী দলগুলোকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভান্ডারি। নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে কিংবা জোট গঠন করেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারেনি। এরপরই নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওলিকে আবারও নিয়োগ দেন তিনি। শপথ নেওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জয় লাভ করতে হবে ওলিকে। তাতে ব্যর্থ হলে সংবিধানের ৭৬(৫) ধারা অনুযায়ী নতুন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাতেও ব্যর্থ হলে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর নতুন আরেক দফা নির্বাচনের পথে হাঁটবে নেপাল। উল্লেখ্য নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান শের বাহাদুর দেউবা সিপিএন মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচন্ডের সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু জনতা সমাজবাদী পার্টির (জেএসপি) সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হন তিনি। জেএসপি প্রেসিডেন্ট উপেন্দ্র যাদব দেউবাকে সমর্থনের আশ্বাস দিলেও দলটির আরেক নেতা মাহান্ত ঠাকুর তাতে সায় দেননি। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি এবং মাওবাদী কেন্দ্রের বর্তমানে পার্লামেন্টে যথাক্রমে ৬১ ও ৪৯টি আসন রয়েছে। তাদের সম্মিলিত শক্তি ১১০ আসন। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে যথেষ্ট নয়। বর্তমানে নেপালের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৩৬ আসনের প্রয়োজন। জেএসপির আসন রয়েছে ৩২টি। দলটি সমর্থন দিলে দেউবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার গঠন করতে পারবেন।
×