ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় কৃষিবিপ্লব ঘটানো হবে

ধান চাল ক্রয়ে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ৬ মে ২০২১

ধান চাল ক্রয়ে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ॥ কৃষিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গত বছর নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। গত বছরের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর ধান-চালের অত্যন্ত যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাজারের সঙ্গে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ বছর ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। কৃষিমন্ত্রী বুধবার সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি খুলনা জেলায় ‘কৃষকের এ্যাপ’ এ সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর লক্ষ্য। তাই তিনি কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ফলেই অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় এই অভূতপূর্ব সাফল্য সারা পৃথিবীর কাছে আজ এক বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। খুলনার কৃষিতে বিপ্লব আনা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষির আমূল পরিবর্তনে সরকার কাজ করছে। লবণাক্ত জমিতে চাষের উপযোগী ফসলের বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি ইতোমধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলো চাষের মাধ্যমে লবণাক্ত জমিতে অনেক সাফল্য এসেছে। আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন অব্যাহত থাকবে যাতে করে দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষি বিপ্লব ঘটানো যায়। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, গত বছর খুলনা জেলাতে ডিজিটালি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শতভাগ ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল। চলতি বছরেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এ সময় তিনি কৃষিমন্ত্রীর পক্ষে কৃষকের হাতে ধান ক্রয়ের প্রতীকী মূল্য তুলে দেন। খুলনায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো হবে- কৃষিমন্ত্রী ॥ স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস জানায়, কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, খুলনায় কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো হবে। খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষিতে আমূল পরিবর্তন আনতে সরকার কাজ করছে। লবণাক্ত জমিতে চাষের উপযোগী ফসলের বিভিন্ন জাত ও প্রযুক্তি ইতোমধ্যে উদ্ভাবিত হয়েছে। এগুলো চাষের মাধ্যমে লবণাক্ত জমিতে অনেক সাফল্য এসেছে। আরও নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন অব্যাহত থাকবে যাতে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে কৃষিবিপ্লব ঘটানো যায়। গত বছরের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর ধান-চালের অত্যন্ত যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারীভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নানা কারণে গত বছর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এ বছর ধান চালের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাজারের সঙ্গে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ বছর ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। তিনি বুধবার সকালে সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি খুলনা জেলায় ‘কৃষকের এ্যাপ’ এ সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে লটারির মাধ্যমে ধান ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে ‘কৃষকের এ্যাপ’ ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি ও কৃষকবান্ধব। কৃষকের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর লক্ষ্য। তিনি কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ফলেই অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় এই অভূতপূর্ব সাফল্য সারা পৃথিবীর কাছে আজ এক বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। কোন দুর্যোগের সময় দেশে যেন খাদ্য সঙ্কট না হয়, আর কৃষক যাতে তার ধান বিক্রি করে লাভবান হতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার প্রতিবছর ধান-চাল ক্রয় করে। সরকার গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে চায়। আর তা করতে হলে গ্রামের কৃষকের ও কৃষির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ‘খাদ্য শস্য সংগ্রহ কমিটি’র- সভাপতি খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। তিনি কৃষিমন্ত্রীর পক্ষে কৃষকের হাতে ধান ক্রয়ের প্রতীকী মূল্য তুলে দেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মাদ বাবুল হোসেন।
×