ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

৩৪ স্থানে হবে বাস বে ও স্টপেজ

আন্তঃজেলা বাসের জন্য নগরীর বাইরে হচ্ছে চার টার্মিনাল

প্রকাশিত: ২২:৫১, ২০ জানুয়ারি ২০২১

আন্তঃজেলা বাসের জন্য নগরীর বাইরে হচ্ছে চার টার্মিনাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বাস রাখার জন্য রাজধানীর বাইরে চারটি আন্তঃজেলা টার্মিনাল করা হবে। শহরের ভেতরের বাস টার্মিনালগুলোকে সিটি টার্মিনালে রূপান্তর করার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার দক্ষিণের নগর ভবনে বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন কমিটির পঞ্চদশ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। তাপস বলেন, আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল করার জন্য চিহ্নিত ১০টি জায়গার কয়েকটি আমরা পরিদর্শন করেছি। সরেজমিন পরিদর্শনের প্রেক্ষিতে আমরা বিরুলিয়ার বাটুলিয়াতে একটি জায়গা নির্ধারণ করেছি। সেখানে একটি আন্তঃজেলা টার্মিনাল হবে। মূলত উত্তরাঞ্চলের যে বাসগুলো আছে, সেখানে এসব বাস থাকবে। সাভারের হেমায়েতপুরে দুটি জায়গা দেখেছি। দক্ষিণাঞ্চলের জন্য কেরানীগঞ্জের বাঘাইরে একটি জায়গা নির্ধারণ করেছি। এবং আরেকটি জায়গা কাঁচপুরে। এই চারটি জায়গায় আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল স্থাপন করলে ঢাকা শহরের ওপর থেকে চাপ কমে যাবে। মেয়র বলেন, সায়েদাবাদ, গাবতলী এবং মহাখালী টার্মিনালকে আমরা সিটি টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারব। বাকি চারটি টার্মিনাল সারাদেশের যে বাসগুলো ঢাকামুখী যাতায়াত করে, তাদের জন্য নির্ধারণ করতে পারব। প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করে সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। সিটি বাস সার্ভিসের রুটে কিছুটা পরিবর্তন আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তাপস বলেন, ঘাটারচর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুট-আমরা এখন এটাকে কাঁচপুর পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছি। উত্তর ও দক্ষিণ সিটির প্রায় ৩৪টি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস বে হবে এবং কিছু কিছু জায়গায় বাস স্টপেজ হবে। এটাকে এখন কিছুটা বাড়াতে হবে। যেহেতু রুট বাড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, প্রাইলট প্রকল্প হিসেবে যে রুট নির্ধারণ করা হয়েছে দুই সিটির প্রকৌশলীরা বসে ঠিক করবেনÑ কোথায় বাস বে হবে, কোথায় স্টপেজ হবে। সে অনুযায়ী যাত্রীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা প্রস্তুত করা হবে। শুধু মতিঝিল পর্যন্ত হলে ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। এ জন্য আমরা ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বর্ধিত করছি। সেই প্রক্ষিতে বাকি আনুষঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়নের কাজটা সেই পর্যন্ত বর্ধিত করব। কতগুলো কোম্পানির মাধ্যমে ঢাকায় বাস চালানো হবে, সেই নীতিমালা শীঘ্রই তৈরি হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রাথমিকভাবে যে কোম্পানির মাধ্যমে চলবে, কতগুলো বাস চলবে, কতগুলো প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত হবে, আয় কিভাবে বণ্টন হবে, কীভাবে পরিচালিত হবে- সামগ্রিক বিষয় নিয়ে নীতিমালা হবে। আশা করি ঢাকা পরিবহন সম্বয় কর্তৃপক্ষ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অংশীজনদের নিয়ে বসে একটি খসড়া তৈরি করবে। আগামী সভার আগেই খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত করলে কোম্পানি গঠনের দিকে এগিয়ে যাবে। রাত ১২টার পরে যত্রতত্র বিআরটিসির বাস রাখতে দেয়া হবে না জানিয়ে তাপস বলেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি বিআরটিএকে ভাড়া নির্ধারণের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তারা সেখানে সিদ্ধান্ত নেবে। গত সভায় একটি নির্দেশনা দিয়েছিলাম, রাত ১২টার পর বিআরটিসির বাস যত্রতত্র রাখা যাবে না। এই বাসগুলো তাদের নিজস্ব ডিপো-টার্মিনাল বা তাদের জায়গায় রাখতে হবে। এ বিষয়ে অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে। তবে কিছু বাস এখনও বাইরে থাকছে জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিআরটিসি সকল বাস থাকার ব্যবস্থা করবে।
×