জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ইন্দোনেশিয়ার সুলাওসি দ্বীপে শুক্রবার ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো এল পি মারসুদিকে লিখিত এক বার্তায় মোমেন ভূমিকম্পে মর্মান্তিক প্রাণনাশের ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ান সরকার, ইন্দোনেশিয়ার ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ এবং বিশেষত শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। খবর বাসস ও বিডিনিউজের।
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ জন হয়েছে, আহত হয়েছেন কয়েক শ’ মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছেন। কর্তৃপক্ষ আরও ভূমিকম্প হতে পারে এবং তা সুনামি ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রথম প্রহরে রিখটার স্কেলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎস ছিল মাজেনি শহরের ৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। মোমেন প্রার্থনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, ইন্দোনেশিয়ার সহিষ্ণু ও উদ্যোগী মানুষেরা এই বিপর্যয় মোকাবেলা করে উঠে দাঁড়াবে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে তাদের বাড়িঘর ও অবকাঠামো সফলভাবে পুনর্নির্মাণ করবে। তিনি দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশই দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে, তাই বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা এবং উদ্ধার কর্মীরা যৌথভাবে পরিচালিত ভূমিকম্পের মহড়া ও সিমুলেশন অনুশীলনে অংশ নিতে পারে। রয়টার্স জানিয়েছে, সাত সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্প এবং একের পর এক পরাঘাতে ৩শ’ ঘরবাড়ি, দুটি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধসে পড়ে একটি হাসপাতাল এবং প্রাদেশিক গবর্নরের কার্যালয়। এসব জায়গায় ধ্বংসস্তূপের নিচে কিছু মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কয়েক জায়গায় ভূমিধস হয়েছে, বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকায়, সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: