ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিগত বছরের ন্যায় এবারো সেরা ইলন মাস্ক

প্রকাশিত: ২১:০৬, ৯ জানুয়ারি ২০২১

বিগত বছরের ন্যায় এবারো সেরা ইলন মাস্ক

আইটি ডট কম প্রতিবেদক ॥ ইলন রিভ মাস্ক একজন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা। তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের সিইও এবং সিটিও, বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের সিইও ও পণ্য প্রকৌশলী, সোলারসিটির চেয়ারম্যান, দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এবং পেপ্যালের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা, এছাড়াও তিনি হাইপারলুপ নামক কল্পিত উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবক। ২০১৮ সালে ইলন মাস্ক ‘ফেলো অব দি রয়্যাল সোসাইটি’ নির্বাচিত হন, একই বছর ফোর্বস সাময়িকী ‘বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি’ তালিকায় ২৫তম স্থানে তার নাম ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ফোর্বসের ‘আমেরিকার সবচেয়ে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব’ তালিকায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ফোর্বসের তথ্যমতে ১২ আগস্ট ২০২০ সাল পর্যন্ত ইলন মাস্ক বিশ্বের ৩১তম বিলিয়নিয়ার এবং তার মোট সম্পত্তির মূল্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইলন মাস্কের মাতা একজন কানাডিয়ান ও পিতা একজন দক্ষিণ আফ্রিকান। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় বড় হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে তিনি সতেরো বছর বয়সে কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে কানাডা গমনের পূর্বে প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য লেখাপড়া করেছিলেন। দুই বছর কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার পর পেন্সিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং অর্থনীতি ও পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ইলন মাস্কের জন্ম ১৯৭১ সালের ২৮ জুন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। তার মাতার নাম মায়া মাস্ক, যিনি পেশায় একজন মডেল এবং তার বাবার নাম এরল মাস্ক, যিনি একজন প্রকৌশলী, বৈমানিক, নাবিক, পরামর্শক এবং প্রপার্টি ডেভেলপার। ইলন মাস্কের ছোট ভাইয়ের নাম কিম্বল এবং ছোটবোনের নাম টসকা। তার নানা, ড. জশুয়া হাল্ডম্যান আমেরিকান বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক। তার দাদার পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ এবং পেন্সেলভ্যানিয়া ডাচদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ১৯৮০ সালে বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর, ইলন মাস্ক প্রিটোরিয়ায় তার বাবার সঙ্গে বসবাস করা শুরু করেন। ইলন মাস্ক তার বাবাকে পছন্দ করতেন না, তিনি তাঁর বাবাকে ‘বাজে মানুষ’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং বর্তমানে পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন আছেন। ইলন মাস্কের একজন সৎভাই ও একজন সৎবোন আছে। শৈশবকাল হতে ইলন মাস্ক বই পড়তে ভালবাসতেন। দশ বছর বয়সে কমোডর ভিআইসি-২০ কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে কম্পিউটারের ওপর তাঁর আগ্রহ জন্মে। তিনি একটি ব্যবহার নির্দেশিকা ব্যবহার করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখেন। বারো বছর বয়সে তিনি বেসিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে একটি ভিডিও গেম তৈরি করেন, যার নাম ছিল বাস্টার। এই গেমটি ৫০০ ডলারে তিনি পিসি এ্যান্ড অফিস টেকনোলজি ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করে দেন। ছোট থাকতে ইলন মাস্ক আইজাক আসিমভের ফাউন্ডেশন সিরিজের বই পড়তেন। যেখান থেকে তিনি শেখেন ‘সভ্যতার বিকাশে, অন্ধকার যুগের সম্ভাবনা ও স্থায়িত্বকাল কমাতে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’ ইলন মাস্ক শৈশবে প্রচণ্ড বুলিইং এর স্বীকার হয়েছিলেন। একদল ছেলে তাকে সিড়ি থেকে ফেলে দিয়েছিল বলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। তিনি ওয়াটারক্লুফ হাউজ প্রিপারেটরি স্কুল এবং ব্রায়ানস্টোন হাই স্কুলে লেখাপড়া করেছিলেন।
×