ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

থার্ড টার্মিনালে আবার বোমা উদ্ধার

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

থার্ড টার্মিনালে আবার বোমা উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবারও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে বোমা পাওয়া গেছে। ওই প্রকল্পে মাটি খনন কাজের সময় বোমাটি উদ্ধার করা হয়েছে। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছে বিমানবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এ নিয়ে শাহজালালের থার্ড টার্মিনালের ওই এলাকায় চারটি বোমার সন্ধান পাওয়া যায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে এই বোমাটি প্রথমে দেখতে পান কর্মরত শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বোমাটি পাওয়ার পরপরই বিমানবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে কাজ শুরু। এ বিষয়ে আইএসিপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে জানালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁ০েছ বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। পরে বোমটি ডিমোলিশ বা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল শিফটের শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা যথারীতি সাইটে এসে কাজ শুরু করেন। বিশাল প্রকল্প এলাকার মাঝামাঝি অংশে কর্মব্যস্ত শ্রমিকরা পাইলিংয়ের জন্য মাটি খনন শুরু করতেই চোখে পড়ে বিশালাকার স্টিলের একটি সিলিন্ডার। এতে শ্রমিকরা কিছুটা সতর্ক হয়ে অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে ডেকে আনেন। তারা এটাকে বিপজ্জনক বোমা হিসেবে সন্দেহ করে খবর পাঠান বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল মহলে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান, এভসেক পরিচালক উইং কমান্ডার সৈয়দ আলী আজমসহ অন্য নিরাপত্তাকর্মীরা। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক তথ্য সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর বিমানবাহিনীর বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানায়। বিমানবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে এসে নিশ্চিত করে এটি একটি বোমা। প্রাথমিকভাবে তারা বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। উদ্ধারকৃত বোমাটিও আগের মতোই আড়াই শত কেজি ওজনের। এই বোমাটিও তাজা ছিল। শ্রমিকরা আগে থেকেই সতর্ক থাকায় কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। যদিও বোমা বিশেষজ্ঞরা মাটি খননের সময় যদি এতে বড় ধরনের কোন আঘাত লাগত তাহলে দুর্ঘটনার যথেষ্ট আশঙ্কা ছিল। এ বোমাটিতেও মরীচিকা থাকায় বোঝার উপায় ছিল না এটি ঠিক কোন দেশের নির্মিত। এতে সন, তারিখও দেখার উপায় ছিল না। অনেক আগে হয়ত এটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাক্রমে তা বিস্ফোরণ না হওয়ায় থেকে গেছে অপরিবর্তিত। যে কারণে বোমাটিকে তাজা ধরে নিয়েই নিষ্ক্রিয় করা হয়। এ ধরনের বোমা প্রথম পাওয়া যায় গত ৯ ডিসেম্বর। শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের এই এলাকায় প্রথম একটি বড় আকৃতির বোমা পাওয়া যায়। ২৫০ কেজি ওজনের বোমাটি ‘জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমা’ ছিল বলে জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে সেটি নিরাপদে ধ্বংস করতে টাঙ্গাইলের রসুলপুর রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গত ১৪ ও ১৯ ডিসেম্বর ওই এলাকাতেই প্রায় একই ধরনের আরও দুইটি বোমার সন্ধান পাওয়া যায়। সব বোমাই নিষ্ক্রিয় করে যথানিয়মে ধ্বংস করা হয়েছে।
×