ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অবিনাশ পুরকায়স্থ

টুঙ্গিপাড়ার খোকা

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ২৭ নভেম্বর ২০২০

টুঙ্গিপাড়ার খোকা

ইউনেস্কোর ৪০তম অধিবেশনে ইউনেস্কো এবং বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে সর্বসম্মতিক্রমে মুজিববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচী প্রণয়ন করে এবং তা বাস্তবায়ন করে। আমরা দেখেছি করোনাভাইরাস সংক্রামণ বিশ্ব বাস্তবতার মাঝে দাঁড়িয়েও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতামালা, বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা, শত কবিতায় বঙ্গবন্ধু গ্রন্থ প্রকাশ, শত গানে বঙ্গবন্ধু গ্রন্থ প্রকাশ, জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কর্ম সম্পাদনা করেছে। এই মহৎ কর্মযজ্ঞে রাষ্ট্র যেমন এগিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তেমনি ব্যক্তি এগিয়ে তার ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজেস্ব সৃজনশীল শৈল্পিক দক্ষতা-যোগ্যতা এবং আন্তরিক শিল্প সৃজন নিয়ে। সে রকম বাস্তবতার নান্দনিক দৃশ্যকল্প মনের ক্যানভাসে দেখামেলে অমর একুশে বইমেলা-২০২০ এ অতিক্রম প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত মাইকেল মধুসূদনের জন্মস্থানের জল-ধুলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা কবি ইব্রাহিম রেজা রচিত কাব্যগ্রন্থ ‘টুঙ্গিপাড়ার খোকা’ বইয়ের ৩৯টি কবিতা পড়তে পড়তে। যেখানে মুজিব জন্মশতবর্ষকে স্বাগত জানিয়ে কবি ইব্রাহিম রেজা স্মরণে-বরণে তোমাকে নামক কবিতা লিখলেন, মাটি ও মানুষের মাঝে হে আমার পিতা তোমার জন্মশতবর্ষে একটি মানচিত্রের কথা বলবো একটি কবিতার কথা বলবো একটি গানের কথা বলবো ভালোবাসার কথা বলবো তুমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। [স্মরণে-বরণে তোমাকে] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহাকাব্যিক জীবনের অন্তর্নিহিত ফল্গুধারাকে ঔপন্যাসিকের পক্ষে সম্ভব ৩০০ অধিক পাতার উপন্যাসে প্রকাশ করা। দশের অধিক দৃশ্যে নাট্যকারের পক্ষে সম্ভব বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা। একজন দক্ষ কবির পক্ষে সম্ভব সংক্ষিপ্ত কাব্যে মহাকাব্যিক জীবন ধারণ। বঙ্গবন্ধু যেখানে বিশেষণে লাল-সবুজের পতাকা, সেখানে উড়ন্ত বহমান পতাকার দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু কী সে তো এক কাব্যিক জিজ্ঞাসা। আবার পতাকাকে তুলে ধরছে যে দেশপ্রেমিক জনতা, সেই জনসাধারণের প্রবহমানতাকে কীভাবে দেখছে উড়ন্ত বহমান পতাকা-তারও উত্তর যেন দিয়েছেন কবি ইব্রাহিম রেজা। কবি লিখলেন, তুমি জন্মেছিলে বলে একটি ভূখণ্ড একটি লাল-সবুজের পতাকা বুকে নিয়ে হাঁটি অবিরত সবুজেরা স্বপ্ন দেখে দিগন্ত থেকে দিগন্তে। [তোমার জন্ম দিনে] ধন্য জীবন যার তাঁর জীবনে কত ঝড়-ঝঞ্ঝা আর নিষ্পেষণের প্রহসন। তবু লেনসন মেন্ডেলা কিংবা মুনির চৌধুরীর মতো মানুষেরা বন্দীদশায়ও করে চলে জীবনের জয়োগান, শিল্পের বুনন। ‘যার ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ আমরা সবাই সেই বঙ্গবন্ধুকে আমার শ্রদ্ধা নিবেদন’ উৎসর্গ পত্রে, জাহাঙ্গীর আলমের উচ্ছ্বাসিত প্রচ্ছদে, অতিক্রম প্রকাশনীর সারল্য প্রকাশনে, নাট্যকার-সম্পাদক-কবি ইব্রাহিম রেজার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সৃজন সার্থকতার মূল্যায়নের বাস্তবতার দলিলনামা যেন তারই কাব্য সৃজন যেখানে বঙ্গবন্ধুর সাহসী সত্তাই কবি ইব্রাহিম রেজার একান্ত আত্তিকরণ, প্রতি নিয়ত খুঁজে ফিরি একটা শান্ত-শীতল কলম যার গর্ভ চিরে জন্ম নেবে মুঠো মুঠো স্পর্ধিত সাহস। [আমি খুঁজে ফিরি]
×