ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্কুলে ভর্তি লটারিতে ॥ করোনায় শিক্ষা সঙ্কট উত্তরণে সিদ্ধান্ত ঘোষণা

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ২৬ নভেম্বর ২০২০

স্কুলে ভর্তি লটারিতে ॥ করোনায় শিক্ষা সঙ্কট উত্তরণে সিদ্ধান্ত ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনার কারণে নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষার পরিবর্তে লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। করোনার আঘাত কিছুটা কমলেই কেবল খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আবার তখন প্রতিষ্ঠান খুললেও প্রতিদিন ক্লাসে আসতে হবে না শিক্ষার্থীদের। এদিকে গত এসএসসি পরীক্ষার ফলের ৭৫ শতাংশ ও জেএসসি পরীক্ষার ফলের ২৫ শতাংশ ধরে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই। তবে চলমান সঙ্কটের কারণে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হবে না। পিছিয়ে যেতে পারে অন্তত দু’মাস। বুধবার নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করোনার কারণে সৃষ্ট শিক্ষা সঙ্কট ও তার উত্তরণ নিয়ে সরকারের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় ছাড়াও পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা, করোনাকালে স্কুলে শিক্ষার্থীদের টিউিশন ফিসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। স্কুলের সকল শ্রেণীতেই লটারির মাধ্যমে ভর্তি ॥ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আসন্ন নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ‘ক্যাচমেন্ট (এলাকাভিত্তিক) কোটা’ ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। ক্লাস্টারভিত্তিক লটারিতে ঢাকার শিক্ষার্থীরা একটির জায়গায় পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করার সুযোগ পাবে। মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে প্রতি শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যোগ্যতার চাইতে ভাগ্যকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। বাধ্য হয়েই এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছি। এতদিন প্রথম শ্রেণীতে লটারির মাধ্যমে এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। তবে মঝে আবার ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রাথমিক সমাপনীর ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হতো। প্রাথমিকের মতো জেএসসি-জেডিসির ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণীতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হলেও এবার অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় সে সুযোগ নেই। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনটি বিকল্প খতিয়ে দেখেছি। একটি হচ্ছে স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া। কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। এমসিকিউ পদ্ধতির কথা চিন্তা করেছি, কিন্তু তাতেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হতো। অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া সবার জন্য নিরাপদ হলেও সব শিক্ষার্থীর অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হবে, তাই এটি যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। সবার ইন্টারনেট এ্যাকসেস নেই, আবার সংযোগেও সমস্যা আছে। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে এবার শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার বিষয়টি হয়ত অনেকে ভাববেন যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটু ভাল করে যদি লক্ষ্য করি, তাহলে বোঝা যাবে যে প্রক্রিয়াটি যোগ্যতাভিত্তিক না হয়ে ভাগ্যভিত্তিক হলেও আমাদের বিদ্যালয়গুলো সর্বোপরি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, প্রচলিত ব্যবস্থায় কেবল একাডেমিক অর্থে সব মেধাবী শিক্ষার্থীরা গুটি কয়েক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীভূত হয়, ফলে বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এক ধরনের অসাম্য তৈরি হয়। প্রচলিত ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত হলে তা দূর করা অসম্ভব। একটি দেশের গুণগত শিক্ষা অর্জনে এ ধরনের অসাম্য একটি বড় বাধা। এই পদ্ধতিতে বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কিছুটা হলেও সাম্য প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হব। অনেক সময় স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হলে স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করা যাবে। মন্ত্রী বনে, আশা করি পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারব। অনেক প্রতিষ্ঠান বেশি ভর্তি ফি নেয়। অনেক সময় আমরা ব্যবস্থা নিই, অনেক সময় প্রমাণ না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারি না। আশা করি কেউ অতিরিক্ত ফি নেবেন না, অতিরিক্ত ফি নিলে ব্যবস্থা নেব, আমরা কঠোর হব। লটারির মাধ্যমে ভর্তি হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভাল স্কুলে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যাশিত স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে কেউ কেউ রাগান্বিত হবেন। এক্ষেত্রে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে গুটি কয়েক স্কুলে ভর্তি হলেই মেধাবীদের সফলতা নির্ভর করে না। কিভাবে পড়ানো হচ্ছে সেটাই বিবেচ্য বিষয়। ২০২২ সাল থেকে পাঠদান কার্যক্রম এবং কারিকুলামে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। তাই শুধু কয়েকটি সুনামধারী স্কুলে ভর্তি হতে পারলেই যোগ্যস্থান হয়েছে বলে মনে করা যাবে না। নামী স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। এ থেকে বের হতে হবে। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১১-১২ বছরের শিশুদের মেধা নিরূপণ করা যায় না। ১৬ বছরের পরে এটা করা হয়। এর আগে তা করা হলে তা যৌক্তিক ও অনৈতিক। উন্নত দেশগুলোতেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করে। তাই কেউ যদি গুটি কয়েক স্কুলে ভর্তি হতে না পারলে মেধাবীরা বঞ্চিত হয়েছে বলে, তা ঠিক না। এটা বলা হলে তাদের আবারও পরীক্ষা ও বইয়ের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে। আমাদের এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও প্রতিদিন ক্লাসে আসতে হবে না ॥ করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলে তার পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বড় পরিবর্তন আসবে। আগের মতো প্রতিদিন ক্লাসে আসতে হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণী ক্লাসের পাঠদান পরিচালনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে আগের মতো শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেয়া হবে না। সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস না নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ক্লাসে আসতে হবে শিক্ষার্থীদের। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস করানো হবে। এসএসসির ৭৫, জেএসসির ২৫ শতাংশ নিয়ে এইচএসসির ফল ॥ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল দেয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী। সেক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসির ফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে ফল ঘোষণা করা হবে। তবে কোন পদ্ধতিতে এবারের এইচএসসির ফল ঘোষণা করা হবে তা ফল প্রকাশের দিন বিস্তারিত জানিয়ে দেয়া হবে। করোনার কারণে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এর পরিবর্তে এবার পরীক্ষার্থীদের জেএসসি সমমান এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল মূল্যায়নের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে সব পরীক্ষার্থীকে পাস ঘোষণা করা হয়েছে। এসএসসি-সমমান এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলের মাধ্যমে গ্রেড নির্ধারণ করা হবে। এ জন্য আমরা একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করি। তারা বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে আমাদের কাছে একটি গ্রেড নির্ণয়ের জন্য একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এর আলোকে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। গ্রেড নির্ণয়ের জন্য এসএসসি পরীক্ষার ফলকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। যারা ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল তাদের ফল কিভাবে দেয়া হবে? মন্ত্রী বলেন, তাদেরও প্রত্যাশিত নম্বর কম দেয়া হবে না। আগের পরীক্ষার ফলের ওপর মূল্যায়ন করে নম্বর দেয়া হবে। বাউবিসহ যারা জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি তাদের তো আমরা গ্রহণ করেছি। তাদের এসএসসি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে। পূর্বের পরীক্ষার সম বিষয়ের নম্বরকে গুরুত্ব দেয়া হবে। যেসব বিষয় মিল থাকবে না তা কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে কবে থেকে এদের ক্লাস শুরু হবে তা করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। পিছিয়ে যাবে আগামী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ॥ করোনার কারণে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। বলেছেন, আগামী বছর যাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা, তাদের জন্য ‘তিন মাসে শেষ করা যায়’- এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে, তার আলোকে তিন মাস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা তাদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। সে কারণে হয়ত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ২/১ মাস পিছিয়ে যাবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষা ॥ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও কারিগরি বোর্ডের বন্ধ থাকা পরীক্ষাগুলো মাস খানেকের মধ্যে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব পরীক্ষা আটকে রয়েছে সেসব পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি মাস খানেক পরেই পরীক্ষাগুলো নিয়ে নিতে পারব। এসব পরীক্ষার শিক্ষার্থী কম। সারাদেশে একেক কেন্দ্রে ভাগ করে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পরীক্ষাগুলো নিতে পারব। পলিটেকনিকের বিভিন্ন পর্যায়ের এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কিছু বাকি ছিল। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো নিয়ে নিতে পারব। সব শিক্ষার্থীকে বলছি, আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। চূড়ান্ত পর্যায়ে অটোপাস দেয়া সম্ভব না। এইচএসসি অটোপাস হয়েছে, তাতে অনেকে লিখেছেন অটোপাস দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, তাদের আরও একটি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা কারিগরিতে হয়ত অনেকে এখানেই লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন। তাই পরীক্ষাগুলো ছাড়া আপনাদের যদি অটোপাস দেয়া হয়, তাহলে কর্মজীবনে বাধা সৃষ্টি হবে। বিশ^বিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আশা শিক্ষামন্ত্রীর ॥ শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা না হলে ভর্তিচ্ছুদের বিশাল ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকে মসজিদে রাত কাটান। আবার ছাত্রীদের সেই সুযোগও নেই। এর সঙ্গে আর্থিক ক্ষতি তো রয়েছেই। আর করোনার কারণে এটা সম্ভবই নয়। সে কারণে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রক্রিয়ায় আসছে না, তাদের আবারও বিষয়টি ভেবে দেখার আহ্বান জানাই। মন্ত্রী বলেন, যারা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আসছে না, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। তবে তারা জনগণের স্বার্থবিরোধী কিছু করবে না বলে আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিতে পারে। মেডিক্যালে আমরা সারাদেশে একসঙ্গে ভর্তি করতে পারছি। তাহলে একটি করে পরীক্ষা নিয়ে কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করতে পারব না? এরপরও কোন বিশ্ববিদ্যালয় যদি এককভাবে চলতে চায়, তাহলে বিষয়টি তাদের ভেবে দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন। এছাড়া আইনের মধ্যে থাকুক বা না থাকুক, কারোর ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। আশা করি, সবাই গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নেবে, কেউ এর বাইরে থাকবে না। সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েই এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
×