
ছবি: জনকণ্ঠ
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় পুলিশের হাতে আটক নিজ দলীয় কর্মীকে ছাড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীদের থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ও বিক্ষোভের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে দর্শনা থানায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভাধীন ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সাথে ভিটা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল প্রতিবেশী আপন ভাতিজি ছামিরা বেগমের (৩০) সাথে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছামিরা বেগম দর্শনা পৌরসভাধীন পরানপুর গ্রামের কুদরত মণ্ডলের ছেলে হাবু (৪০) ও শ্যামপুর গ্রামের স্কুলপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে মানিক হোসেন (২৬) সহ ৪/৫ জনকে সাথে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র শাবল, হাম্বুর ও রডসহ হামলা চালায় জাহিদুল ইসলামের বসতবাড়িতে।
এসময় জাহিদুলের বসতবাড়ির একটি পুরাতন ঘরের ছাদসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ঘরের আসবাবপত্র, টেলিভিশন, শোকেস, খাট, ড্রেসিং টেবিল, সিলিং ও টেবিল ফ্যানসহ অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে মামা জাহিদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দর্শনা থানার পুলিশ ভাগ্নে, দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মানিক হোসেনকে (২৫) আটক করে। আটক করার পর নিজ দলীয় কর্মী পরিচয় দিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতারা তাকে ছাড়াতে চেষ্টা করলেও পুলিশ ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাত ৮টার দিকে বিপুল সংখ্যক বিএনপির নেতাকর্মী পুরাতন বাজার থেকে এসে মিছিল সহকারে দর্শনা থানার ভিতরে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়লে বিএনপির স্থানীয় নেতারা চাপের মধ্যে পড়ে যায় এবং তাদের বক্তব্যও মুহূর্তে পরিবর্তন হয়ে যায়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে কর্মীরা স্থান ত্যাগ করে।
তবে রাতেই দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ তিতুমীর বিএনপির দর্শনা সমন্বয়ক কমিটির প্রধান আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান বুলেট ও সমন্বয়ক নাহারুল ইসলামের জিম্মায় মানিককে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস বলেছেন, থানায় ঢুকেছে – এমন কোনো তথ্য জানা নেই। তবে আটককৃতকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা ও মামলা না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি।
মুমু ২