ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তিন দশকে বাজে শুরু বার্সিলোনার

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২৩ নভেম্বর ২০২০

তিন দশকে বাজে শুরু বার্সিলোনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কিছুতেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না বার্সিলোনা। কাতালানরা স্প্যানিশ লা লিগার নতুন মৌসুমে একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। যে কারণে দলটি নিজেদের প্রায় তিনদশকের ইতিহাসে লা লিগায় সবচেয়ে বাজে শুরুর রেকর্ড গড়েছে। শনিবার রাতে স্বাগতিক এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ১-০ গোলে হেরে বাজে শুরুর অগৌরবের এই রেকর্ড গড়েছে বার্সিলোনা। ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময় (৪৫+৩) বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে ও গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগানের ভুলে ইয়ানিক কারাসকো দুর্দান্ত গোল করেন এ্যাটলেটিকোর হয়ে। গত ১০ বছর লীগে এটি বার্সিলোনার বিরুদ্ধে এ্যাটলেটিকোর প্রথম জয়। ২০১০ সালে দিয়াগো সিমিওনে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে সর্বশেষ বার্সাকে পরাজিত করেছিল এ্যাটলেটিকো। এর মাধ্যমে লা লিগায় টানা ২৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকল সিমিওনের দল। অন্যদিকে বাজে অবস্থা যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদেরও। ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে গ্যালাক্টিকোরা। ভিয়ারিয়ালের মাঠে ম্যাচ শুরুর দ্বিতীয় মিনিটে মারিয়ানো দিয়াজ গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন। তবে বিরতির পর ৭৬ মিনিটে স্পট কিক থেকে জেরার্ড মোরেনো গোল করে ভিয়ারিয়ালকে সমতায় ফেরান। বর্তমানে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে রিয়াল সোসিয়েদাদ। নয় ম্যাচে সর্বোচ্চ ২০ পয়েন্ট ভাণ্ডারে তাদের। আট ম্যাচে ২০ পয়েন্ট ভাণ্ডারে এ্যাটলেটিকোরও। তবে গোলগড়ে দুইয়ে সিমিওনের দল। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ভিয়ারিয়াল। আর ১৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে রিয়াল মাদ্রিদ। ১১ পয়েন্ট নিয়ে দশ নম্বরে নেমে গেছে বার্সিলোনা। এর ফলে ১৯৯১-৯২ মৌসুমের পর অষ্টম রাউন্ড শেষে এটাই বার্সার সবচেয়ে বাজে অবস্থান। এমন হতশ্রী পারফর্মেন্স হয়েছিল ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমেও। ২০০২-০৩ ও ২০০৩-০৪ মৌসুমেও বাজে অবস্থার মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছিল বার্সাকে। তবে ওই দুই মৌসমে শুরুর আট ম্যা৬েচ তিনটি জয়ের পাশাপাশি তিন ড্র ও দুই ম্যাচে হেরেছিল দলটি। পয়েন্ট ছিল ১২। ২০০০-০১ মৌসুমেও বার্সা প্রথম আট ম্যাচের তিনটিতে হেরেছিল। সেবার ১৩ পয়েন্ট পেয়েছিল কাতালানরা। কিন্তু এবার আট ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পেয়েছে লিওনেল মেসির দল। এ্যাটলেটিকোর মাঠে বলের দখলে এগিয়ে ছিল সফরকারী বার্সাই। কিন্তু কাজের কাজ গোল আদায় করতে পারেনি রোনাল্ড কোম্যানের দল। তার ওপর ম্যাচের ৬২ মিনিটে ডান হাঁটুর ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন বার্সা ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। এ্যাঞ্জেল কোরেয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে হাঁটুতে আঘাত পান পিকে। সাবেক ক্লাবের বিরুদ্ধে ফরাসী ফরোয়ার্ড এ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান বার্সাকে প্রায় এগিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোলবঞ্চিত হন তিনি। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন অধিনায়ক মেসিও। পক্ষান্তরে মার্কোস লরেন্টের শট অল্পের জন্য ক্রসবার উঁচিয়ে গেলে গোলবঞ্চিত হয় এ্যাটলেটিকো। কিন্তু প্রথমার্ধের ইনজুরি সময় কারাসকোর দারুণ গোলে ঠিকই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এই গোল ধরে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এ্যাটলেটিকো। ম্যাচশেষে এ্যাটলেটিকো কোচ দিয়াগো সিমিওনে বলেন, আমরা জয় পেলেও রাতারাতি কোন কিছুই পরিবর্তন হয়ে যায়নি। আমরা পরিশ্রম করে যাচ্ছি এবং দলটিকে নিয়ে আমি আশাবাদী। আমরা যোগ্যতর দল হিসেবেই জিতেছি। অন্যদিকে হতাশ বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যান বলেন, অন্য সব কোচের মতো এই হারের দায় সম্পূর্ণ আমার। আমরা জানি এ অবস্থা থেকে আমাদের দ্রুতই বেরিয়ে আসতে হবে। আমার কাছে যেসব খেলোয়াড় আছে তাদের ওপর আমার আস্থা আছে।
×