ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাকিবের ফেরা-তামিমের নেতৃত্বে আস্থা ডোমিঙ্গোর

প্রকাশিত: ২১:২৮, ২৪ অক্টোবর ২০২০

সাকিবের ফেরা-তামিমের নেতৃত্বে আস্থা ডোমিঙ্গোর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর মাত্র কয়দিন পরই নিষিদ্ধ থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২৮ অক্টোবর এক বছরের ক্রিকেট না খেলতে পারার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। এরপরই ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব। তবে নৈপুণ্যে ফেরার বিষয়ে একটু ধৈর্য ধরতে হবে বলেই মনে করছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। সাকিবের প্রতি তার আস্থা রয়েছে। ঠিক যেমনটি বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে ফাইনালে উঠতে না পারলেও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্ব নিয়ে আস্থা আছে ডোমিঙ্গোর। জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরও ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগে তা জানাননি সাকিব। আর তাতেই অপরাধ হয়েছে। শাস্তিও ভোগ করতে হয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় সাকিবকে। এই সময়ের মধ্যে অবশ্য খুব বেশি ক্রিকেট খেলা হাতছাড়াও হয়নি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সব খেলাই তো বন্ধ ছিল। বাংলাদেশের খেলাগুলোও হয়নি। তাতে সাকিবের লাভই হয়েছে। এখন সময় হয়েছে সাকিবের ফেরার। আর ৫দিন আছে। এরপরই সাকিব মুক্ত হয়ে যাবেন। ক্রিকেট খেলতে পারবেন। ডোমিঙ্গো সাকিবকে নিয়ে জানান, ‘আমি তার (সাকিবের) সঙ্গে কথা বলেছি। ও নিজের ফিটনেস ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করছে। এই মুহূর্তে ও দেশের বাইরে আছে। সাকিব অন্য খেলোয়াড়দের মতোই ক্রিকেটে অভ্যস্ত হতে তার কিছুটা সময় দরকার। আপনি যদি সরাসরি তার কাছে ভাল কিছু প্রত্যাশা করে থাকেন এবং দুর্দান্ত কিছু দেখতে চান তবে আপনাকে তার প্রতি ধৈর্য ধরতে হবে। ও এক বছর ক্রিকেট খেলে না এবং সে খেলতে আগ্রহী। সে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু তার নিজের পথ নিজেকে বের করে নিতে হবে। বোলিং মেশিনে অনুশীলন এবং বোলারের সামনে ১৪০ কি.মি. গতির বল মোকাবেলা করায় বড় পার্থক্য রয়েছে। তার আগের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে। আমি জানি সে যোগ্যতাসম্পন্ন খেলোয়াড়। আমি আশাবাদী ২০২১ মৌসুমটা তার দুর্দান্ত যাবে।’ তামিম ওয়ানডে নেতৃত্ব পাওয়ার পর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপেই প্রথম অধিনায়কত্ব করলেন। করোনাভাইরাসের প্রভাব না থাকলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মাটিতে একটি ওয়ানডে দিয়ে তামিমের ওয়ানডে নেতৃত্বের শুরুটা হয়ে যেত। কিন্তু হয়নি। এবার যখন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে নেতৃত্ব দিলেন, দল ফাইনালে উঠতে পারেনি। একটিমাত্র ম্যাচ জিততে পেরেছে তামিমের দল। প্রথম ম্যাচেই মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিরুদ্ধে বৃষ্টি আইনে ৫ উইকেটে হেরেছে তামিম একাদশ। নাজমুল একাদশকে এরপর ৪২ রানে হারালেও আবার মাহমুদুল্লাহ একাদশের কাছে ৪ উইকেটে হেরে যায় তামিম একাদশ। নিজেদের শেষ ম্যাচে নাজমুল একাদশের কাছেও বৃষ্টি আইনে ৭ রানে হেরে যায়। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে নেয়। ফাইনালে ওঠে মাহমুদুল্লাহ ও নাজমুল একাদশ। তামিমের নেতৃত্বগুণে আস্থা রাখছেন ডোমিঙ্গো। প্রধান কোচ বলেছেন, ‘অবশ্যই মাত্র তিনটি ম্যাচ দেখে কাউকে যাচাই করা কঠিন। সে একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। খেলাটি সে ভালই বুঝে। খেলোয়াড়রাও তাকে অনেক বেশি সম্মান করে। আমি আশাকরি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সে দলের জন্য একজন ভাল নেতা হয়ে উঠবে।’ বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে তামিমদের দলে সুযোগ পেয়েছেন অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটাররাও। এই তরুণদের সঙ্গে এর আগে খেলার অভিজ্ঞতা কখনও ছিল না তামিমের। সে কারণেই খাপ খাইয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগেছে তামিমের বলে মনে করছেন ডমিঙ্গো। তিনি বলেছেন, ‘তামিমের অধিনায়কত্ব নিয়ে ওর সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। সে কি ধরনের অধিনায়কত্ব করতে চায় সেটি নিয়েও কথা হয়েছে। আমাদের। এখনও কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলার দরকার। সে কিছু বোলারকে ব্যবহার করছে যাদের ব্যাপারে সে খুব একটা পারদর্শী নয়। একইসঙ্গে কিছু ব্যাটসম্যানের সঙ্গে সে খেলছে যাদের সঙ্গে এর আগে সে খেলেনি।’
×