ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে আমন ধানের ‘পাতা পোড়া’য় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ২০:২৮, ১৭ অক্টোবর ২০২০

যশোরে আমন ধানের ‘পাতা পোড়া’য় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শরতের হিমেল হাওয়ায় দোল খাচ্ছে সদ্য বের হওয়া রোপা আমনের শীষ। সেই সঙ্গে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। আর মাস খানেক পেরুলেই কৃষকরা ঘরে তুলবেন রাশি রাশি সোনালী ফসল। ভরে যাবে গোলা, মুখে ফুটবে নবান্নের হাসি। চলতি আমন মৌসুমে এমনটাই আশা ছিল চাষীদের। কিন্তু ভেস্তে যেতে বসেছে যশোরের কৃষকদের সোনালি স্বপ্ন। হঠাৎ করেই ধানের পাতা পুড়ে যাওয়ায় (ব্যাকটেরিয়াল ডিজিজ-বিএলবি রোগ) হতাশ বহু কৃষক। এমন সময়ে ধান দেখে কৃষকের মুখে হাসি থাকার কথা। কিন্তু অবস্থা হয়েছে উল্টো। ধানের শীষের পাতাগুলো পচে ও শুকিয়ে যাচ্ছে। পাতাগুলো তামাটে রং ধারণ করেছে। কোথাও কোথাও শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় পার করছে যশোরের কয়েক হাজার কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলছেন, গত দুই বছর ধরে আমন মৌসুমে ধানে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তায় থাকলেও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা তাদের কোন খোঁজ নেয় না। মণিরামপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক সুলতান আহম্মদ বলেন, পাঁচ বিঘা জমির ধানগাছ কমবেশি আগা পুড়ে যাচ্ছে। বেশি আক্রান্ত হয়েছে একবিঘা। দুইবার স্প্রে করেও ফল মিলছে না। দিনদিন আক্রান্তের মাত্রা বাড়ছে। একই এলাকার রোহিতা মাঠের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, আট শতক জমিতে গুটি স্বর্ণা ধান চাষ করেছি। ধানে শীষ আসার মতো হয়েছে। ১৫-২০ দিন আগে এক কোনায় কিছু ধানগাছের পাতা পোড়া দেখা গেছে। পরে এক সার দোকানির পরামর্শে তিন প্রকারের কীটনাশক একসঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করেছি। এখন দেখছি পুরো জমির ধানই রোগাক্রান্ত হয়েছে। ওই মাঠের অসিত দাস ও দেবাশীষ বিশ্বাসের দেড় বিঘা করে জমিতে ধানের রোগ দেখা দিয়েছে। তারাও কীটনাশক ব্যবহার করে কোন ফল পাচ্ছেন না। এই ইউনিয়নের বাগডোব মাঠের কৃষক ওয়াসিম আকরাম বলেন, আমার ১২ কাঠা জমির ধানের আগাপুড়ে গেছে। এছাড়া মাঠের অধিকাংশ জমিতে এই সমস্যা। কৃষি অফিসারদের কোনদিন মাঠে উঁকি মেরেও দেখেন না। এই বিষয়ে মণিরামপুর খেদাপাড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, ধানের আগা পোড়া রোধে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।
×