ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৪ অক্টোবর থেকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২ অক্টোবর ২০২০

৪ অক্টোবর থেকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার দুসপ্তাহ ধরে চলবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন। দেশে আগামী ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই ক্যাম্পেন চলবে। ছয় মাসের বেশি ও পাঁচ বছরের কম বয়সের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে এ সময় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ চলবে। গত বছর ক্যাম্পেনে ক্যাপসুলের মধ্যে সমস্যা থাকলেও এবার তা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাম্পেন নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূরসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এ প্লাস ক্যাম্পেনের জন্য ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দুই সপ্তাহব্যাপী এই ক্যাম্পেন ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ। আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ কোটি ৯৩ লাখ। ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সর্বমোট কেন্দ্র ১ লাখ ২০ হাজার, স্বাস্থ্যসেবী প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে অভিভাবকরা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ক্যাম্পেন উদযাপন করা হবে। তিনি বলেন, আশা করি কোন শিশু টিকা খাওয়া থেকে বাদ পড়বে না। বাদ পড়লেও তাদের পরে খাওয়ানো হবে। তবে কোন শিশু অসুস্থ থাকলে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না, পরে শিশু সুস্থ হলে ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন। গতবার ক্যাম্পেনে ক্যাপসুলের মধ্যে সমস্যার কারণে স্থগিত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতবারের ক্যাপসুলে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে তা আর ব্যবহার করা হয়নি। তখন একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। সে বিষয়ে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তবে এবারের ক্যাপসুলে কোন সমস্যা নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় শিশুদের ভরা পেটে আনতে হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল কেটে তা চিপে শিশুদের খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সী ও পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসার সময় অভিভাবকরা মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করবেন। সঠিক সময়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিনের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, কোভিড থেকে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব মুক্তি পাবে। সেজন্য ভ্যাকসিনের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। যাতে সঠিক সময়ে আমরা ভ্যাকসিন পাই সেই কার্যক্রম আমরা নিয়েছি। তিনি বলেন, করোনায় আমরা অন্যান্য কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। গত সাত মাস আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দিনরাত কাজ করেছে। জাহিদ মালেক বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ে একেবারে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত সকল ব্যক্তিরা কাজ করে গেছেন। ফলে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের দেশে মৃত্যুর হার অন্য দেশের তুলনায় কম। সংক্রমণের হারও কমেছে। করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সর্বদা সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
×