ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভুয়া আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলে প্রতারণা

চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১ অক্টোবর ২০২০

চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিমানবন্দরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আমিনুল ইসলাম লালু (৪২) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে প্রতারণার অভিযোগে সোমবার তার বিরুদ্ধে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। গ্রেফতারকৃত আমিনুল ইসলাম লালুর গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের চন্দ্রপাড়ায়। সিআইডি জানায়, একের পর এক ভুয়া আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলেছেন আমিনুল ইসলাম লালু। এরপর সেখানে টাকার বিনিময়ে লোক নিয়ে তাদের বিমানবন্দরের এয়ার কার্গো বিভাগে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এভাবে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিসানুল হক জানান, লালু কয়েকটি ভুয়া আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলে সেসব কোম্পানির মাধ্যমে বিমানবন্দরে চাকরি দেয়ার জন্য চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। কোম্পানিগুলো হচ্ছে, এনবিজি এয়ার কার্গো লিমিটেড, নর্থবেঙ্গল আউটসোর্সিং লিমিটেড, বগুড়া ডেভেলপার এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, বগুড়া ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, মেসার্স হযরত শাহ্ আলী বোগদাদী (রা) এন্টারপ্রাইজ, নর্থবেঙ্গল বাজার বিডি লিমিটেড, মেসার্স নুরে মুজেসসুম কর্পোরেশন, এনবিও সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড ও মেসার্স গরিবে নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজ। এডিসি জিসানুল হক জানান, লালু এসব কোম্পানি খুলে এখান থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এয়ার কার্গো বিভাগের বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রায় দুই শতাধিক চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম পার্থ পালকে (মামলার বাদী) পিয়ন পদে চাকরি দেয়ার জন্য দুই লাখ টাকা নেন। এছাড়া ভিক্টিম অজয় রায় ও অনুতম বর্মণের কাছ থেকে সুপারভাইজার পদের জন্য দুই লাখ ১৫ হাজার, লোডার পদের জন্য পলাশ চন্দ্রের কাছ থেকে এক লাখ ৫০ হাজার, প্রিয়রঞ্জনের কাছ থেকে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ পদের জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার, নাঈম রানা ও পবিত্র পালের কাছ থেকে এ্যাসিসটেন্ট পদের জন্য দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীরা প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে সিআইডির সহায়তা চান। এরই ধারাবাহিকতায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে আমিনুল ইসলাম লালুকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে লালুর গ্রেফতারের সংবাদ পেয়ে ৫০-৬০ জন ভিকটিম সিআইডি অফিসে হাজির হন, যাদের কাছ থেকে প্রতারক চক্রটি ইতোমধ্যে দুই থেকে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
×