ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পরম্পরা কানন উদ্বোধনীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শেখ হাসিনা একে একে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন

প্রকাশিত: ২৩:২০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

শেখ হাসিনা একে একে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৃথিবীর বুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই হয়ত সৃষ্টিকর্তা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তাই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা একে একে জাতির পিতার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অচিরেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিক উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত উত্তরা সোনারগাঁও জনপথে ৭৪টি গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে পরম্পরা কানন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজধানীর উত্তরা সোনারগাঁ জনপথ রোডের জমজম টাওয়ার এলাকায় দু’দিনব্যাপী এ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সংরক্ষিত তিন আসনের সংসদ সদস্য শবনম শারমিন শিলা প্রমুখ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে স্বপরিবারে নিহত হন তিনি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের শিরায় কি রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে না! এই বাঙালীরা বঙ্গবন্ধুকে খুন করতে পারে এটা আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। তবে পৃথিবীর বুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই হয়ত সৃষ্টিকর্তা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তিনি যখন দেশে ফেরেন, বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি কেঁদে ছিলেন। তখন মানুষ বলছিল, শেখের বেটি আসছে, দেশ এবার ঘুরে দাঁড়াবে। সেটিই হয়েছে। দেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। একে একে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তিনি বলেন, আমি যখনই বিদেশে গিয়েছি, আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছে তোমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাবিটা কী? কীভাবে এত দ্রুত দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন? আমি বলেছি তার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত, তিনি দেশকে ভালবাসেন, দেশের মানুষকে ভালবাসেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওযার এটাই তার মূল শক্তি। যেখানে বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে চার বার নির্বাচিত করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোন সিদ্ধান্তে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হননি। সব সিদ্ধান্তে সফলতা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আসতে অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, ১৭ কোটি মানুষ যদি ভাত খেতে পায়, তবে রোহিঙ্গারাও পাবে। যে কারণে আজ তিনি বিশ্বে মাদার অব হিউম্যানিটি। করোনাভাইরাসও আমাদের আটকাতে পারেনি। এ সময় অনেকে বলার চেষ্টা করেছে এ করোনাকালে আমাদের জিডিপি কমে যাবে। কিন্তু তা কমেনি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা এবং নেতৃত্বের গুণের কারণে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যতদিন আছেন, ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। আর অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে না। তলাবিহীন ঝুড়ির দিন শেষ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে আমরা আজ ৭৪টি বৃক্ষরোপণ করব। সবুজ ঢাকা গড়তে বৃক্ষ রোপণের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে মীর জাফররা পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল। রাজাকারদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল। আওয়ামী পন্থীদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। শেখ হাসিনা সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরেন, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম শুরু করেন। আজ শেখ হাসিনা শুধু দেশের নেত্রী নয়, তিনি বিশ্বনেত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ফুটপাথ দখল ও অবৈধ পার্কিং প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও পছন্দ করতেন না। ঢাকা শহরের আর কোন ফুটপাথ কেউ দখল করে রাখতে পারবে না। মেয়র বলেন, সারাটা জীবন লাল-সবুজের পতাকার জন্য সংগ্রাম করে দেশকে স্বাধীন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দীর্ঘ সময় জেল খেটেছেন তিনি। তারই বদৌলতে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা কি বঙ্গবন্ধুর মতো করে এই শহরটাকে, এই দেশকে ভালবাসি? আমরা যদি এই শহরটাকে বঙ্গবন্ধুর মতো করে ভালবাসতাম, তাহলে অবৈধভাবে ফুটপাথ দখল করতাম না। আমরা যদি ভালবাসতাম, তাহলে রাস্তার উপরে যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে যেতাম না, অবৈধভাবে রাস্তার উপরে তার ঝুলিয়ে রাখতাম না, পথচারী যেন কষ্ট না পায় সেজন্য রড-সিমেন্টের বস্তা রাস্তায় ফেলে রাখতাম না। টাকা খরচ করে ফুটপাথে নিজের ছবি টাঙ্গিয়ে রাখতাম না। মেয়র আতিক বলেন, রাজধানীতে দশটি ইউলুপের কাজ শুরু করেছি। উত্তরা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এই দশটি ইউলুপের কাজ এ বছরেই শেষ করব। ২০২১ সালের মধ্যে এই নগরবাসীকে যানজটমুক্ত নগরী উপহার দেব। সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার জন্য আমি আজকের অনুষ্ঠানে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিএমইএকে দাওয়াত করেছি। প্রত্যেককে আমি গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করছি। আমরা সাতাশটি পার্ক করতে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা যেই পার্কেই যাই সেখানেই মামলা।
×