ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজারবাইজানে চার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে তুরস্ক : আর্মেনিয়া

প্রকাশিত: ১১:২২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

আজারবাইজানে চার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে তুরস্ক : আর্মেনিয়া

অনলাইন ডেস্ক ॥ আর্মেনিয়া-আজারবাইজান ভয়াবহ যুদ্ধাবস্থার মধ্যেই মিত্র আজারবাইজানে ৪০০০ যোদ্ধা পাঠাল তুরস্ক। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে লড়াইয়ের জন্য উত্তর সিরিয়ার থেকে ৪ হাজার যোদ্ধাকে আজারবাইজানে পাঠিয়েছে তুরস্ক। সোমবার ইন্টারফেক্স নিউজ এজেন্সিকে এ তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত। খবর রয়টার্সের। আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, নাগোরনো-কারাবাখের যুদ্ধে অংশ নিয়েছে যোদ্ধারা। অঞ্চলটি আজারবাইনের; কিন্তু আর্মেনিয়ার সহায়তায় দখল করে আছে আর্মেনীয় আদিবাসীরা। করোনা মহামারীর মধ্যেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে চার দশকের বিবাদের জেরে রোবববা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। ভূখণ্ড আজারবাইজানের হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রোববারের সংঘাতে অন্তত ৫৯ জন নিহত হয়েছে। আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী দলটির নেতারা জানিয়েছেন, প্রাণহানি ছাড়াও তাদের শতাধিক সদস্য আহত হয়েছে। আজারবাইজানে নিহত পাঁচজনের সবাই একই পরিবারের সদস্য। আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাবর্ষণে তারা নিহত হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হামলা চালায় আজারবাইজান। এর জবাবে আর্মেনিয়ার বাহিনী প্রতিপক্ষের দুটি হেলিকপ্টার, তিনটি ড্রোন ভূপাতিত ও তিনটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে। অন্যদিকে আজারবাইজান বলছে, হামলার শিকার হওয়ার পর তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত। নতুন করে সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে আজারবাইজান। অন্যদিকে তুরস্কের পক্ষ থেকে আর্মেনিয়ার আচরণকে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে উসকানি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ায় আর্মেনীয়দের প্রতি দেশটির শাসকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান।
×