ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোম্পানির শাসন ফেরাতে চাইছেন মোদি ॥ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

কৃষি বিলের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বন্ধ্

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

কৃষি বিলের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বন্ধ্

কট্টরহিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের নতুন কৃষি বিলের প্রতিবাদে শুক্রবার ভারতজুড়ে বন্ধ্ পালিত হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে ওই দিন সকাল থেকেই কৃষকরা সড়ক ও রেলপথের ওপর অবস্থান নিয়ে বিজেপি সরকারের কৃষি বিলের বিপক্ষে স্লোগান দেয়। শুক্রবারের বনধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, বর্তমান সরকার ভারতের কৃষকদের পুঁজিপতিদের দাসে পরিণত করার কৌশল নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের আইনের সাহায্যে নরেন্দ্র মোদি ভারতে ফের কোম্পানি শাসন ফিরিয়ে আনতে চাইছেন। খবর দ্যা হিন্দু ও এনডিটিভি অনলাইনের। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে সফলভাবে বনধ পালিত হয়েছে। ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন কৃষক ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে, তাদে বনধ অত্যন্ত সফলভাবে পালিত হয়েছে। প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং ৩১ কৃষক সংগঠন এ বনধ সফল করেছে। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র ও উত্তরপ্রদেশের কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকসহ সারাদেশের কৃষক সংগঠনগুলো ‘চাক্কা জ্যাম’এ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে ইতোমধ্যে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে পাঞ্জাবে চলছে ‘রেল রোকো’ আন্দোলন। যার জেরে ফিরোজপুর রেলওয়ে বিভাগে বিশেষ ট্রেনগুলোর চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এই প্রতিবাদ নিয়ে কৃষকদের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং করোনার ভাইরাস সম্পর্কিত সমস্ত বিধি মেনে চলার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্য সরকার পুরোপুরি কৃষকদের সঙ্গে আছে। তিনি আরও বলেন, ধর্মঘটের সময় আইনশৃঙ্খলা সমস্যা তৈরি হওয়া উচিত নয়। যাতে নাগরিকেরা কোন প্রকার সমস্যার মুখোমুখি না হন, তার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের তরফে হরতালের সমর্থনে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও দোকানদারদের দোকান বন্ধ রাখতে আবেদন করা হয়। উল্লেখ্য, নতুন কৃষি বিল পাস করায় ভারতের মোদি সরকারের ওপর প্রচন্ড চাপ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসসহ অন্য দলের রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট চলছে। তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিরোধীদের এ বয়কট অব্যাহত থাকবে বলে মঙ্গলবার রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ জানান। নতুন কৃষি সংক্রান্ত বিল নিয়ে প্রথম থেকে কেন্দ্রকে চেপে ধরেছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে বিলে কোন আশ্বাস দেয়া হয়নি। তার ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে চাষীদের থেকে ফসল, আনাজ কিনতে পারবে বেসরকারী সংস্থাগুলো। কংগ্রেস এ বিলকে চাষীদের মৃত্যু পরোয়ানা আখ্যা দিয়েছে। অপরদিকে এই বিলের প্রতিবাদে বিজেপির পুরনো জোটসঙ্গী পাঞ্জাবের শিরোমনি আকালি দল সরকার থেকে পদত্যাগ করে।
×