ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ানমারের পেঁয়াজও আসছে

তিন বন্দর দিয়ে ভারতে আটকে থাকা পেঁয়াজ আসা শুরু

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

তিন বন্দর দিয়ে ভারতে আটকে থাকা পেঁয়াজ আসা শুরু

এম শাহজাহান ॥ পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও খুচরা বাজারে দাম কমছে না। দেশী জাতের পাশাপাশি আমদানিকৃত ভারতীয় ও মিয়ানমারের বড় আকারের পেঁয়াজ রয়েছে বাজারে। নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজের ডালা ও বস্তাগুলো কানায় কানায় পূর্ণ। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের পাইকারি বাজারেও বস্তায় বস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ভোক্তাকে এই পেঁয়াজ আগের বেড়ে যাওয়া বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠছে টিসিবির ট্রাক সেলের ৩০ টাকার পেঁয়াজ। সরকার ভর্তুকি দিয়ে বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যারা বাজার থেকে নিয়মিত পেঁয়াজ কেনেন তাদের জিজ্ঞাসা, কবে কমবে পেঁয়াজের দাম? পেঁয়াজের আমদানিকারক, খুচরা বিক্রেতা এমনকি পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই প্রশ্নের কোন সহজ উত্তর পাওয়া যায় না। এদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অংশে আটকে থাকা পেঁয়াজবাহী ট্রাক বাংলাদেশে আসা শুরু হয়েছে। তিনটি স্থল বন্দর দিয়ে এসব পেঁয়াজ নিয়ে আসা হচ্ছে। শনিবার ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় আগের দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। জাত ও মানভেদে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৯০-১১০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সোমবার হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আদেশ দিলে সঙ্গে সঙ্গে এক লাফে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। পাঁচ দিন ধরে সেই বাড়তি দাম দিয়েই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ভোক্তাকে। অথচ এরই মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমাতে অন্তত দশটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হচ্ছে ভারতের বিকল্প বাজার থেকে দ্রুত আমদানি করে দেশের বাজার সামাল দেয়া। এ লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে টেকনাফ বন্দর হয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেছে। এর পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটকে থাকা পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে দেশটি। এর ফলে হিলি, ভোমরা, সোনামসজিদ তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসছে বাংলাদেশে। এতে করে আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, গত পাঁচদিন ট্রাকে আটকে থাকায় অর্ধেক পেঁয়াজ ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার মে.টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। দেশীয় উৎপাদন দিয়ে পেঁয়াজের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। এ কারণে ভারত থেকে প্রায় ৯০ ভাগ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কিন্তু কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু ভারতের একার ওপর এখন আর নির্ভর করা ঠিক নয়। বন্যা ও অতিবৃষ্টি ও খরার কারণে কয়েক বছর ধরে ভারতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে দেশটি গতবারের মতো এবারও পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে ভারতের বিকল্প বাজার থেকে এখন আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত রাখতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, পেঁয়াজের প্রধান উৎস ভারত। এত সস্তায় ও কম সময়ে বিশ্বের আর কোন দেশ থেকে আনা সম্ভব হয় না। এ কারণে ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা ভারতের বাজারের ওপর নির্ভরশীল। এতে সাশ্রয় হয়। কিন্তু এবার বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে। তবে ভারতের পাশাপাশি তুরস্ক, মিসর, মিয়ানমার ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আশা করছি শীঘ্রই দাম কমে আসবে। এদিকে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম না কমায় হতাশ সাধারণ মানুষ। তবে কোন বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। বেশি দাম দিলেই পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ। গোড়ার বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনছিলেন হায়দার হোসেন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, পেঁয়াজ এখনও আগের মতো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ১০০ টাকার নিচে কোন দেশী পেঁয়াজ নেই। আর আমদানিকৃতটি কিনতে ৭০-৮৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। এই দাম অনেক। ওই বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ও মুদিপণ্যের ব্যবসায়ী মোঃ খালেক জানান, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের কোন সঙ্কট নেই। কিন্তু দাম কমছে না। আর এ কারণে আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ভারতে আটকে থাকা পেঁয়াজবাহী ট্রাক আসা শুরু ॥ পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অংশে আটক পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর ফলে শনিবার পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো অন্তত তিনটি স্থল বন্দর দিয়ে আসা শুরু হয়। এই পেঁয়াজ দেশে আসার পর পেঁয়াজের বাজারে এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সাতক্ষীরার ভোমরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। তবে সেসব পেঁয়াজের একটি অংশ পচে নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে থাকা পেঁয়াজবোঝাই ট্রাককে বাংলাদেশে রফতানির জন্য শুল্ক বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। ভারতের ঘোঝাডাঙ্গা স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার বেলা একটা পর্যন্ত পেঁয়াজভর্তি ১৪টি ট্রাক ভোমরা বন্দরে ঢোকে। তবে এই পেঁয়াজের শতকরা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ পচে নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। ভোমরা কাস্টমস সূত্র জানায়, কোন ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই গত সোমবার ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে ভারতের ঘোঝাডাঙ্গা বন্দরে অপেক্ষায় থাকা পেঁয়াজভর্তি প্রায় ৩০০ ট্রাক আটকে যায়। ভোমরা স্থলবন্দর থেকে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকছে। দুপুর ১২টার দিকে পাথরভর্তি কয়েকটি ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকে। বেলা একটার দিকে একসঙ্গে আসে পেঁয়াজভর্তি ১৪টি ট্রাক। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সারা দিনে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। তবে এসব পেঁয়াজের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় আছে পেঁয়াজভর্তি ৩০০ ট্রাক। প্রতিটি ট্রাকে রয়েছে প্রায় ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। ভোমরা বন্দর দিয়ে ৩২ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে ॥ স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার ৫ দিন পর ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় আটকে থাকা ৩২ ট্রাক পেঁয়াজ শনিবার বাংলাদেশে ঢুকেছে। ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেডের বিশেষ অনুমতি পাওয়ায় পূর্বের এলসিতে আমদানির জন্য ভারতীয় সীমান্তে আসা প্রায় ২শ’ ৫৫ ট্রাক পেঁয়াজের মধ্যে মাত্র ৩২ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়। বাকি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাকগুলো ইতোমধ্যে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ফেরত চলে গেছে। ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ৩২ ট্রাকের বাইরে নতুন করে কোন পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেবে না ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এমনটি নিশ্চিত করেছে ভারতের আমদানি-রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তরা । গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেডের এক চিঠিতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। ১৮ সেপ্টেম্বর ওই ফরেন ট্রেডের অপর এক চিঠিতে শর্তসাপেক্ষে শনিবার ভোমরা বন্দরের বিপরীতে আটকে থাকা কিছু পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেয়া হয়। প্রতিট্রাকে ২২ থেকে ২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ভোমরা ও হিলিসহ তিনটি বন্দরের বিপরীতে আটকে থাকা মোট ২৫ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেয় ভারত । সেই হিসেবে ৮ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ ভোমরা বন্দর দিয়ে আসার কথা। এই ঘোষণার পর শনিবার দুপুর ১টা থেকে পেঁয়াজবাহী ভারতীয় ট্রাক ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে। এদিকে, পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো ৫দিন আটকে থাকার কারণে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসছে পেঁয়াজ ॥ স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকে জানান, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের পর টানা পাঁচ দিন আটকে থাকা পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকগুলো হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভারতের অভ্যন্তর থেকে জিরো পয়েন্ট গেট অতিক্রম করে হিলি বন্দরে গাড়িগুলো প্রবেশ করে। পেঁয়াজ আমদানির খবরে বন্দর এলাকায় ভিড় করতে শুরু করে দিয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা। তবে পেঁয়াজের গুণগত মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় আমদানিকারকরা। এদিকে পেঁয়াজ আসছে খবর প্রচার হতেই স্থানীয় খুচরা বাজারে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, শুধু গত ১৪ সেপ্টেম্বরের আগে এলসি করা পেঁয়াজগুলো ভারত সরকার রফতানির অনুমতি দিয়েছে। এ কারণে দুই শত মেট্রিকটন পেঁয়াজ শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আমদানি হচ্ছে। পাঁচদিন ধরে সীমান্তে আটকে থাকায় কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আশা করছি বাকি ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি করা হবে। এদিকে হিলি পানামা পোর্ট জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ মল্লিক বলেন, গেল সোমবার কোন কারণ ছাড়াই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। ফলে আগের টেন্ডার করা পেঁয়াজবোঝাই শত শত ট্রাক ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে। দু’দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শনিবার বিকেলে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়েছে। দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বন্দরে আসা পেঁয়াজগুলো দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা করছি। যাতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। পেঁয়াজ ঢুকছে সোনামসজিদ বন্দরে ॥ স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, চারদিন বন্ধ থাকার পর ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক আসা শুরু হয়েছে। এই ট্রাকের পরিমাণ প্রায় চার শ’। তবে সিংহভাগ পেঁয়াজ গরমে ও বৃষ্টির হবার কারণে পচে গেছে। সিএ্যান্ডএফ সভাপতি রাজ্জাক জানান, অধিকাংশ পেঁয়াজ পচে যাবার কারণ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা। তবে সমগ্র চাঁপাইয়ে পেঁয়াজের দাম কমেছে। বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। তবে পেঁয়াজ তদারকিতে রয়েছে একাধিক সরকারী টিম। তারা দেখ ভাল করছে।
×