ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিক্ষোভের মুখে পূর্ব লিবিয়া সরকারের পদত্যাগ

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিক্ষোভের মুখে পূর্ব লিবিয়া সরকারের পদত্যাগ

অনলাইন ডেস্ক ॥ জীবনযাত্রা মানের চরম অবনতি এবং দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকদিন ধরে টানা বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে পূর্ব লিবিয়ার অন্তর্বতী সরকার। বেনগাজি, আল-মার্জ, দক্ষিণের দুই নগরী সাবহা এবং আল-বাইদাতেও বিক্ষোভ হচ্ছিল। রোববার বেনগাজিতে বিক্ষোভকারীরা সরকারের সদরদপ্তরে আগুন দেয়। জেনারেল হাফতারের নিয়ন্ত্রণাধীন আল মার্জ শহরেও প্রথমবারের মত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এরপরই অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা এল। মূলত অতিরিক্ত লোডশেডিং, নগদ অর্থের চরম সঙ্কট এবং জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত দামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত বৃহস্পতিবার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। রবিবার পূর্ব লিবিয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল-থানি তবরুক-ভিত্তিক হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এখন তবরুকের পার্লামেন্ট সরকারের পদত্যাগপত্র অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়েছে বিবিসি। নেটো সমর্থিত বাহিনীর অভিযানে ২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে সমান্তরালভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী দুইটি সরকার ব্যবস্থা কায়েম আছে। আর রাজধানী ত্রিপোলি জাতিসংঘ স্বীকৃত গভমেন্ট অব ন্যাশনাল একর্ড (জিএনএ) সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে। জিএনএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ফায়েজ আল-সরজ। জেনারেল খলিফা হাফতার ও তার লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে হাফতারের এনএলএ বাহিনী ত্রিপোলির দখল নিতে অভিযান শুরু করেছিল। সেবার তুরস্কের সহায়তায় জিএনএ সরকার ওই আক্রমণ প্রতিহত করে তাদের তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। পরে গত মাসে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। রাশিয়া জেনারেল হাফতার সরকারকে সমর্থন করে। এছাড়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশরও হাফতার সরকারের পক্ষে। অন্যদিকে, তুরস্ক, কাতার এবং ইতালি জিএনএ সরকারকে সমর্থন করে। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে লিবিয়াতেই সবচেয়ে বেশি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ আছে। বিবিসি জানায়, এ বছর জানুয়ারি থেকে জেনারেল হাফতারের অনুগত একটি সশস্ত্র দল দেশটির প্র্রধান প্রধান তেলক্ষেত্রগুলোর দখল নিয়ে সেগুলো অবরোধ করে রেখেছে। ফলে জ্বালানি তেলের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারায় অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া, তেল রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি গুণতে হচ্ছে।
×