ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কমছে না মোটা চালের দাম, শাক-সবজির দামও চড়া

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ২৮ আগস্ট ২০২০

কমছে না মোটা চালের দাম, শাক-সবজির দামও চড়া

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিত্যপণ্যের বাজারে কমছে না মোটা চালের দাম। স্বর্ণা ও চায়না ইরিখ্যাত প্রতিকেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৮ টাকায়। ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমেছে আদা ও জিরার দাম। শাক-সবজি আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আটা, ডাল, চিনি ও ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া বাজারে ইলিশের মাছের সরবরাহ বাড়ায় দেশী মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা তিনদিনের ছুটিতে বাজারে কেনাকাটায় ছিল উপচেপড়া ভিড়। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিারপুল বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজার, মুগদা বড় বাজার ও খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারে সব ধরনের চালের দাম বাড়তি। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য মোটা চাল। সেই চাল এখন ৪৪-৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। কয়েকদিনের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ টাকা। এ অবস্থায় স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়ে গেছে। মোটা চাল কিনতে তাদের বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। মুগদা বড় বাজার থেকে মোটা চাল কিনছিলেন সিএনজি চালক জয়নাল আবেদিন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, চালের দাম অনেক বেড়ে গেছে।কয়েকদিন আগেও চায়না ইরি ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন সেই চাল ৬ টাকা বেশি দিয়ে কেনা হচ্ছে। তিনি বলেন, মোটা চালের দাম বাড়ায় তারা কষ্টে আছেন। ওই বাজারের চাল বিক্রেতা হাজী স্টোরের কর্মকর্তা বাবুল আহমেদ বলেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম বেশি। আর এ কারণে খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, চালের দাম বাড়ার জন্য মিলমালিকদের বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। এবছর ধানের বাম্পার ফলনের পরও চালের দাম কমছে না। তবে বাজারে মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালেল দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি মাঝারি মানের চাল ৪৮-৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিকন মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল ৫৪-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া বাড়তে শুরু করেছে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম। প্রতিলিটার সয়াবিন লুজ ৮২-৮৬, সয়াবিন বোতল ৫ লিটার ৪৬০-৫১০, পামওয়েল লুজ ৭০-৭৩, পামওয়েল সুপার ৭৩-৭৬, প্রতিকেজি পেঁয়াজ দাম বেড়ে দেশী ৪০-৪৫, আমদানিকৃতটি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে প্রতিকেজি আদা আমদানি ১৭০-২০০ এবং দেশীটি ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। জানা গেছে, বন্যা ও বৃষ্টির কারণে শাক-সবজির উৎপাদন কমে গেছে। আর এ কারণে ঢাকার বাজারে কমে গেছে সবজির সরবরাহ। গড়ে ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গত কয়েক মাস ধরে কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। ইলিশের উপর ভর করে স্থিতিশীল রয়েছে দেশী মাছের দাম। ভাদ্রের ইলিশের স্বাদ নিতে সবাই ছুটছেন ইলিশের বাজারে। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মহরমের ছুটি যোগ হওয়ায় টানা তিনদিনের ছুটিতে আছেন নগরবাসী। আর একারণে ভোগ্যপণ্যের কেনাকাটা বেড়ে গেছে। মুদিপণ্য কেনাকাটা করা হচ্ছে। এছাড়া ক্রেতারা বাজারে গিয়ে কিনে আনছেন পছন্দের ইলিশ। প্রতিকেজি ইলিশ আকার ও সাইজ ভেদে ৫৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
×