ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার কমেছে

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ২৭ আগস্ট ২০২০

দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার কমেছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রথম রোগী শনাক্তের ১৭২ দিনে দেশে শনাক্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, কমেছে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৫৪ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন নতুন ২৫১৯ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৪০৮২ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ২ হাজার ১৪৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৩৪২৭ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৭০টিসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৬১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তর হার ২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬২ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩৫ শতাংশ। বুধবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫৪ জনের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী। তাদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আটজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২৯ জন রয়েছেন। তাদের বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ৯, রাজশাহীতে ৪, খুলনায় ৯, বরিশালে ২, সিলেটে ২, রংপুরে ৩ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত ৪ হাজার ৮২ জনের মধ্যে পুরুষ তিন হাজার ২০৮ (৭৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ) জন এবং নারী ৮৭৪ জন (২১ দশমিক ৪১ শতাংশ)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬৫৩ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২০ হাজার ২৮৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৪১ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩৯৯ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৬৯৬ জনকে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ১৮৪৯ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ১ হাজার ৯০৫ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৭ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১২ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫২ হাজার ৭০৫ জন। ২৬ আগস্ট পর্যন্ত মোট মৃত্যুর শতকরা হারে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, যা শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৫ জন, যা শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৯৬ জন, যা দুই দশমিক ৩৫ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৫৩ জন, যা ছয় দশমিক ২০ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫৪৭ জন, যা ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১২৯ জন, যা ২৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছেন ২০০৩ জন; যা ৪৯ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সারাদেশে করোনা রোগীদের জন্য সাধারণ শয্যার সংখ্যা ১৫ হাজার ২৫৫টি, রোগী ভর্তি রয়েছে ৪০৫৬ জন এবং খালি শয্যার সংখ্যা ১০ হাজার ৭৮৭টি। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে মোট সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭০৩৭টি, রোগী ভর্তি রয়েছে ২১৬৫ জন এবং খালি শয্যার সংখ্যা ৪৪৬০টি, চট্টগ্রাম মহানগরীতে মোট শয্যার সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত ১৮০টি এবং খালি শয্যার সংখ্যা ৬০২টি। আর দেশের অন্যান্য হাসপাতালে মোট সাধারণ শয্যার সংখ্যা ৭৪৩৬টি, ভর্তিকৃত ১৭১১টি এবং খালি শয্যার সংখ্যা ৫৭২৫টি। আর সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৫৪৪টি, ভর্তিকৃত ৩২৪টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২২৪টি। এর মধ্যে আর ঢাকা মহানগরীতে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩০৬টি, ভর্তিকৃত ২০০টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১১০টি। চট্টগ্রাম মহানরগীতে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯টি, ভর্তিকৃত ২২টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১৭টি। আর দেশের অন্যান্য হাসপাতালে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১৯৯টি, ভর্তিকৃত ১০২টি এবং খালি আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৯৭টি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৬ আগস্ট পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯৬৮ জন, যা মোট মৃতের ৪৮ দশমিক ২১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৯৮ জন, যা মোট মৃতের ২২ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ২৭৬ জন, যা মোট মৃতের ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ৩৩৫ জন, যা মোট মৃতের ৮ দশমিক ২১ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১৫৯ জন, যা মোট মৃতের ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১৮৬ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ৫৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৭১ জন, যা মোট মৃতের ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৯ জন, যা মোট মৃতের ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বিমানবন্দরসমূহে ২৮০৭ জন, স্থলবন্দরসমূহে ২৯৫ জন এবং সমুদ্রবন্দরসমূহে বিদেশ হতে আগত ২২২ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৬৫০ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইন নম্বর স্বাস্থ্য বাতায়নে ৫৮৬২টি, ৩৩৩ নম্বরে ৪২ হাজার ৫০০টি এবং আইইডিসিআরের নম্বরে ২৯৩টি অর্থাৎ মোট ৪৮ হাজার ৬৫৫টি কল এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন ৪৩৫৩ জন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১৭১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৪২ জন, রংপুর বিভাগে ১৯৭ জন, খুলনা বিভাগে ২৭১ জন, বরিশাল বিভাগে ১০৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫৭ জন, সিলেট বিভাগে ২০২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
×