ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যায় সবজির ক্ষতি ॥ বিপাকে চাষী

প্রকাশিত: ০০:০৪, ১৪ আগস্ট ২০২০

কুড়িগ্রামে বন্যায় সবজির ক্ষতি ॥ বিপাকে চাষী

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ উচ্চ মুনাফায় ঋণ নিয়ে সবজি চাষ করে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বানভাসি কৃষকরা। চলতি মৌসুমে দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। আরধ্য ফসল ঘরে তুলতে না পেরে তাদের চোখেমুখে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। সরকারীভাবে পুনর্বাসন ও ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার দাবি কৃষকের থাকলেও সবার কাছে পৌঁছবে না প্রণোদনা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিস সূত্র জানায়, চলতি দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জেলায় ১৭ হাজার ৫৫৬ হেক্টর আবাদি জমির ফসল সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়। এরমধ্যে নষ্ট হয়ে যায় ১১ হাজার ৬৬২ হেক্টর জমির ফসল। এতে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৫৮ জন কৃষকের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা ও শাকসবজির। পাটের ক্ষতি হয় ৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর, আউশ ধানের ক্ষতি হয় ৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর, আমন বীজতলা ১ হাজার ৭১ হেক্টর, শাকসবজি ৯৫৩ হেক্টর, তিল ৩০২ হেক্টর, মরিচ ২০৫ হেক্টর, চিনা ১৪০ হেক্টর, কাউন ২০ হেক্টর ও ভুট্টা ১৪ হেক্টর। এমন পরিস্থিতিতে যেসব কৃষক বেসরকারীভাবে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছেন তারা পরেছেন চরম সঙ্কটে। আসল না ওঠায় কিস্তি দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছে তারা। কৃষি বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারীভাবে সহযোগিতা করার জন্য ১০৫ একর কমিউনিটি বীজতলা, শতাধিক ভাসমান বীজতলা ও ১১২টি ট্রে বীজতলা করে মাত্র ৭ হাজার ৬৭ কৃষককে সহযোগিতা দেয়া হবে। এছাড়াও ১ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে মাষকালাই কার্যক্রমের মাধ্যমে ১ হাজার ২০০ চাষী উপকৃত হবে। এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, এবার দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক।
×