ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডোপ-কলঙ্ক ছিল জীবনের সবচেয়ে বাজে অধ্যায়

প্রকাশিত: ০০:৫১, ২৯ জুলাই ২০২০

ডোপ-কলঙ্ক ছিল জীবনের সবচেয়ে বাজে অধ্যায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেনিস কোর্টে মারিয়া শারাপোভার যে সাফল্যই থাক, ডোপ পরীক্ষায় তার ব্যর্থ হওয়া নিয়েই হইচই হয়েছে সবচেয়ে বেশি! ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রুশ টেনিস সুন্দরীর নমুনায় পাওয়া যায় নিষিদ্ধ মেলডোনিয়াম। শারাপোভা ভুল স্বীকার করেন। শুরুতে তার দু’বছরের নির্বাসন হলেও পরে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য কমিয়ে ১৫ মাস করা হয়। মেয়েদের টেনিসে প্রাক্তন এই তারকা সম্প্রতি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কতটা ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না। তবে সে সময় নিজের বাবা-মা’র সঙ্গই তাকে দুঃসহ অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিল বলে জানান শারাপোভা। শারাপোভা বলেছেন, সেদিন সকালে (৭ মার্চ, ২০১৬) ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মনে হলো, কোন ম্যাচের জন্য তৈরি হচ্ছি যেন। কিন্তু আসলে তো তা নয়। জানতাম, এবার আমাকে সবার সামনে গিয়ে বলতে হবে সত্যিটা। যোগ করেছেন, সংবাদ সম্মেলনের পরে নিজেকে শান্তিতে রাখতে ফোন থেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সব যোগাযোগ মুছে দিয়েছিলাম। যাতে মানসিকভাবে শান্তিতে থাকতে পারি। নানারকম মন্তব্য না শুনতে হয়। অথচ তার আগে কখনও লোকে আমাকে নিয়ে কী বলছে তা নিয়ে মাথা ঘামাইনি। আর হঠাৎ আমার জীবনে এসব ঘটে গেল! শারাপোভা স্বীকার করেছেন, ডোপিংয়ের ঘটনা তার জীবনের দুঃসহ এক অভিজ্ঞতা। অস্বস্তিরও। এই সময়টায় নিজের বাবা-মা’কে পাশে পাওয়াটা তার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। মা আমাকে বলতেন, আর কখনও টেনিস না খেললেও আমার কিছুই হবে না। সপ্তাহের পর সপ্তাহ মা আমার সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমিয়েছেন। যাতে একাকীত্বের অবসাদ আমায় গ্রাস না করে। সারাক্ষণ বাবাকেও পাশে পেয়েছি। বাবা বার বার বুঝিয়েছে, ভেঙ্গে পড়ার মতো কিছুই হয়নি। আর কখনও আমার অবস্থার জন্য অন্যদের দায়ী করিনি, বলেছেন মারিয়া।
×