ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ শ’ উইকেটের এলিট ক্লাবে স্টুয়ার্ট ব্রড

প্রকাশিত: ০০:৪২, ২৯ জুলাই ২০২০

পাঁচ শ’ উইকেটের এলিট ক্লাবে স্টুয়ার্ট ব্রড

স্পোর্ট রিপোর্টার ॥ টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড় শ’ বছরের ইতিহাসে সপ্তম বোলার হিসেবে ৫০০’শ উইকেট শিকারের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখালেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজের ৬ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরানোর পর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ২ উইকেট নিয়ে মঞ্চটা আগেই প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। সেটি একদিন বিলম্বিত করেছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার ক্রেইগ ব্রেথয়েটকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ঐতিহাসিক মাইল স্টোনে পা রাখেন সুদর্শন এ পেসার। সতীর্থ জেমস এ্যান্ডারসনের পর মাত্র দ্বিতীয় ইংলিশ বোলার হিসেবে ব্রড এখন ৫০০’র এলিট ক্লাবে। টেস্ট ইতিহাসে এমন কীর্তি গড়া অপর ছয় বোলার হলেন মুত্তিয়া মুরলিধরন (৮০০), শেন ওয়ার্ন (৭০৮), অনীল কুম্বলে (৬১৯), এ্যান্ডারসন (৫৮৯), গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩) এবং কোর্টনি ওয়ালশ (৫১৯)। যেখানে চতুর্থ পেসার হিসেবে গ্রেটদের কাতারে নাম লেখালেন ব্রড। সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের তৃতীয়দিনেই ৪৯৯ উইকেট পান ব্রড। ৫০০’র জন্য অপেক্ষা করতে হয় আরও একদিন। কারণ বৃষ্টির কারণে রবিবার চতুর্থদিনের পুরো খেলাই ভেস্তে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার পঞ্চমদিন সকালে ব্রেথওয়েটকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ৫০০ শ’র চূড়ায় পা রাখেন। ৩৪ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসারের অফ স্ট্যাম্পে পড়া বল ব্যাকফুটে ডিফেন্স করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন উইন্ডিজ ওপেনার। বলটি নিচু হয়ে প্যাডে আঘাত হানতেই জোরালো আবেদন করেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। আম্পায়ারও আঙ্গুল তুলতে দেরি করেননি। ব্রেথওয়েটও নিশ্চিত আউট জেনে আর রিভিউ নেননি। ব্রডের সতীর্থ জেমস এ্যান্ডারসনের পাঁচ শ’তম উইকেটও ছিলেন ব্রেথওয়েট। ব্রড মাত্র চতুর্থ পেসার হিসেবে টেস্টে পাঁচ শ’ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়লেন। অপর তিন পেসার হলেন এ্যান্ডরসন, ম্যাকগ্রা এবং ওয়ালস। শীর্ষ তিনে থাকা মুরলি, ওয়ার্ন এবং কুম্বলে স্পিনার। সিরিজ শুরুর আগে ৪৮৫ উইকেট নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু দুই বছরে ইংল্যান্ডের সেরা বোলারকে ছাড়াই সাউদাম্পটন টেস্টের দল সাজায় ইংল্যান্ড। অপ্রত্যাশিতভাবে বাদ পড়ে এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন ব্রড। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে দ্বিতীয় টেস্টে মূল একাদশে ফেরানো হয়। সে ম্যাচের মধ্য দিয়ে অনন্য এক কীর্তির ভাগিদার হন ব্রড। যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন বাবা ক্রিস ব্রড। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছেলের ক্রিকেটে নজর রাখার দায়িত্ব পান বাবা। কারণ সে ম্যাচে ক্রিস ছিলেন ম্যাচ অফিসিয়াল। সে ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে সিরিজে সমতা ফেরাতে সাহায্য করেন ব্রড। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে যেন আগুন ঝরান। উইন্ডিজের দুই ইনিংস শেষ হওয়ার আগে ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করে ফেলেছেন ব্রড। নিজেও জায়গা করে নিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের এক অভিজাত ক্লাবে।
×