ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভালুকায় সড়ক কেটে ঠিকাদার উধাও ॥ জন দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ২৫ জুলাই ২০২০

ভালুকায় সড়ক কেটে ঠিকাদার উধাও ॥ জন দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ২৪ জুলাই ॥ ভালুকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ণ টিএন্ডটি সড়কটির মাঝখান দিয়ে খনন করে আরসিসি ড্রেন করার জন্য রাস্তা কেটে রাখায় স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই। ইতোমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়েকবার চলতি বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। সূত্রে জানা যায়, ভালুকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মাত্র পাঁচ শ’ ৫০ মিটার রিজেক্ট পেবম্যান্ট (ঢালাই রাস্তা) ও এক হাজার ৩শ’ ৯৫ মিটার আরসিসি ড্রেনের কাজের জন্য মিউনিসিপ্যাল গবর্নেন্স এ্যান্ড সার্ভিসেস প্রজেক্টের আওতায় অর্থায়ন করছেন বাংলদেশ সরকার ও আইডিএ। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধারা হয় ৪ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ১শ’ ১০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মহিবুল হক গত বছরের ১৯ মার্চ সালে শুরু করেন। কাজটি দুই ভাগে বিভক্ত প্রথম অংশ ভালুকা বিরুনিয়া সড়কের ৫শ’ ৫০ মিটার রিজেক্ট পেবম্যান্ট রাস্তার সঙ্গে ৩শ’ ৮০ মিটার ড্রেন ও দ্বিতীয় অংশ বিরুনিয়া সড়ক থেকে মেজর ভিটা আঁখিকুঞ্জ পর্যন্ত টিএ্যান্ডটি রোডের ১ হাজার ২৫ মিটার ড্রেনের কাজ রয়েছে, কাজের মেয়াদ ছিল এক বছর। সরেজমিন দেখা যায় ভালুকা বিরুনিয়া সড়কের কয়েক জায়গায় এখনও ড্রেনের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ ছাড়াও আট মাস পূর্বে টিএ্যান্ডটি রোডে ড্রেনের কাজ শুরু করেও অর্ধেক কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। রাস্তার মাঝখান দিয়ে খনন করায় গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বর্তমানে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে রাস্তার আশপাশে বসবাসকারী পৌরবাসীরা যাতায়াতে চরম জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়েক বার চলতি বিল উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। তাই ঠিকাদারের এ কাজ নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই। কাজের মেয়াদ ছিল গত ১৯ মার্চ পর্যন্ত। প্রথম দফায় মেয়র ৭৩ দিন বাড়ানোর পর করোনার অজুহাতে বিশ্বব্যাংক চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। ঠিকাদার শাহজাদা জানান, করোনার কারণে শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিও করোনা কারণে নিজ নিজ দেশে চলে গেছেন। এ পর্যন্ত কত টাকা চলতি বিল নিয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার স্থানীয় প্রতিনিধি মিল্টন বলতে পারবেন রানিং বিল এ পর্যন্ত কত টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ভালুকা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান তালুকদার জানান, করোনা কারণে রাস্তার কাজ বন্ধ ছিল এখন কাজ করছে। নান্দাইলে খানাখন্দে ভরা সড়ক সংবাদদাতা নান্দাইল, ময়মনসিংহ থেকে জানান, উপজেলার মুশুলী-কালিগঞ্জ সড়কের পিচ, ইট-পাথর উঠে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। খানাখন্দের কারণে সড়কে চলাচলকারীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যানবাহন উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক পথচারী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটার পরও সড়কটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। জানা যায়, সর্বশেষ দুই বছর আগে খানাখন্দে ভরা এই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। এ কাজটি বাস্তবায়ন করেছিল প্রভাবশালী একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ৬ মাস যেতে না যেতেই এসব পিচ কার্পেটিং উঠে গিয়ে আবারও সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সরেজমিন সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মুশুলী চৌরাস্তা থেকে পূর্ব দিকে সড়কটি কালিগঞ্জ হয়ে পাশের তাড়াইল উপজেলায় গিয়ে মিশেছে। সড়কের মুশুলী থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার অংশে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ সড়কে বিভিন্ন ধরনের শত শত যানবাহন চলাচল করছে। ইজিবাইক চালক শরিফ মিয়া ও জুবায়ের আলম জানান, এই সড়ক দিয়ে মুশুলী থেকে কালিগঞ্জ যেতে অনেক বার যাত্রীদের নামিয়ে গর্ত পার হতে হয়। গর্তগুলো বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটিতে গাড়ি চালানো কষ্ট হয়ে পড়ে। ভাঙা রাস্তার কারণেই প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ঘটছে দুর্ঘটনা। নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার জানান, তিনি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছেন। এখনও তেমন কিছুই জানা হয়নি। মীরসরাইয়ে বেহাল সড়ক নিজস্ব সংবাদদাতা মীরসরাই, চট্টগ্রাম থেকে জানান, বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে এবং নিম্নমানের কাজের ফলে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের জোরারগঞ্জ-বাংলাবাজার সড়কসহ কয়েকটি গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। এতে করে যান চলাচলসহ জনচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সরেজমিনর গিয়ে দেখা যায়, মীরসরাই উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের জোরারগঞ্জ-বাংলাবাজার সড়ক। এই সড়কটি ব্রিটিশ আমলের সৃষ্টি হয়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান পর্যন্ত ঢাকা চট্টগ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়ক ছিল। এই সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০ বছর সড়কটি সংস্কার বা মেরামত করা হয়নি। এটি পুণর্নির্মাণ করার কথা থাকলেও এখনও আলোর মুখ দেখেনি। এছাড়া জোরারগঞ্জ স্কুল গেট-বিশ্বরোড সড়ক, চৌধুরীহাট থেকে নতুন বাজার হরিমোহন চৌধুরী সড়ক এবং জোরারগঞ্জ-প্রজেক্ট রোডে খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গ্রামীণ সড়কগুলো দিয়ে এলাকার জনসাধারণ ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকছুদ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের জোরারগঞ্জ-বাংলাবাজার সড়কের পুনরায় কার্পেটিংয়ের কাজ অনেক আগে থেকে হবে হচ্ছে বলে এখনও পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এ ব্যাপারে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান, মীরসরাই উপজেলা যেসব গ্রামীণ সড়কগুলোর বেহাল দশা বিরাজ করছে তা উপজেলা প্রকৌশলীকে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করব।
×