ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চৌগাছার পাতিবিলা ইউনিয়নে বালু উত্তোলন চলছেই

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ৯ জুলাই ২০২০

চৌগাছার পাতিবিলা ইউনিয়নে বালু উত্তোলন চলছেই

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের চৌগাছায় উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ করোনা মোকাবেলায় অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঠিক সেই সময় এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সংঘবদ্ধ বালু উত্তোলন চক্ররা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পাতিবিলা ইউনিয়নে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছে। ফলে সরকারি রাস্তা, বসবাসকারী বাড়ি-ঘর, বাড়ির উঠান, ফসলি জমি ক্ষতি হবার পাশাপাশি পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। জানা গেছে, চৌগাছার পাতিবিলা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মধ্যে ছোট নিয়ামতপুর, বড় নিয়ামতপুর, পাতিবিলা, মুক্তদাহ, হয়াতপুর গ্রাম বালু উত্তোলন চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। এলাকাবাসি অভিযোগ করেন এলাকার বিদ্যুৎ, বিশে, আতিয়ার রহমান, রওশন আলী বালু উত্তোলন অব্যহত রেখেছেন। প্রতিদিন ট্রাকে উত্তোলনকৃত বালি ভর্তি করে তা অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করছে। অভিযোগকারীরা বলেন, বারবার বাঁধা প্রদান করা হলেও বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালী মহলের মদদে তারা কাউকে তোয়াক্কা করছেনা। দেখা গেছে, গত কয়েক মাসে বালু উত্তোলনের ফলে গ্রামের মমিনুল হকের জমি ও বেশ কয়েকটি বড় মেহগনি গাছ পুকুরে তলিয়ে যায়। বালু উত্তোলনের ফলে অনেকের বাড়ির রাস্তা ধসে গেছে। ইতোপূর্বে ভুক্তভোগী এলাকার নুরুল ইসলাম, ওলিয়ার রহমান, রবিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নুর ইসলাম, শামছুল আলম, রুহুল আমিন, মশিয়ার রহমান, নূর নবি, নাসির উদ্দিন বালি উত্তোলনের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন। তারপরও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। ঐতিহ্যবাহি মর্জাদ বাওড় সংলগ্ন ঘোষপাড়ার নীচে দেদারছে বিদ্যুৎ নামের এক ব্যক্তি বালু উত্তোলন করছে। সেখানে গেলে পাহাড়ের মত বালু স্তুপ করা দেখা গেছে। দিন রাত স্যালো মেশিনের মাধ্যমে মাটির তলদেশ থেকে তুলে আনা হচ্ছে বালু। বালু উত্তোলনের ফলে আশে পাশের জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, ‘সামান্য টাকার জন্যি জমিডা শেষ করে দিলাম। এখন আমি নিষেধ করলেও তারা শুনছেনা।’ চৌগাছা-কোঁটচাদপুর পাকা সড়ক ধরে পাতিবিলা ইউনিয়নে ঢুকলে সড়কের দুপাশে বালু উত্তোলনের দৃশ্য চোখে পড়ে। শতশত বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। পাকা সড়কও ক্ষতির সম্মুখিন রয়েছে। যে কোন সময় পাকা সড়ক ধসে পড়বে বলে স্থানীয়রা জানান। এ অবস্থা চলতে থাকলে পাতিবিলা ইউনিয়নের মানচিত্রই পাল্টে যাবে বলে অনেকে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হকের নিকট চাইলে তিনি বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি খোঁজখবর নেব। পরিবেশের ক্ষতি করে যদি কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। তাহলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×