ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৮৩ বছর বয়সেও ভাতা পাননি শান্ত রানী মন্ডল

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৩০ জুন ২০২০

৮৩ বছর বয়সেও ভাতা পাননি শান্ত রানী মন্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৯ জুন ॥ বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে-শোকে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন শান্ত রানী ম-ল তিনি। বয়স হয়েছে ৮৩ বছর। চিকিৎসা সেবা নেয়া তো দূরের কথা, তিন বেলা খাবার জোটানোও তার জন্য কষ্টকর ব্যাপার। জীবনের শেষ সময়ে একটু সচ্ছলতার আশায় বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য ধর্ণা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে। আশ্বাস মিললেও এখনও মেলেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। শান্ত রানীর বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের আগদিঘুলিয়া গ্রামে। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৯৩১৭৬৬৫১৪৩৫৩২ এবং তার জন্ম ১৯৩৭ সালের (২১ মার্চ)। সরকারী নিয়মানুযায়ী, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীর বয়স সর্বনিম্ন ৬২, আর পুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর। সে অনুযায়ী ওই বৃদ্ধা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও এতো দিনেও কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি। জানা গেছে, শান্ত রানী মন্ডলের স্বামী অনন্ত চন্দ্র মন্ডল মারা গেছেন প্রায় ৩ বছর আগে। সহায়-সম্বল বলতে স্বামীর রেখে যাওয়া একখন্ড বসতভিটা ছাড়া তার তেমন কিছু নেই। যার অর্ধেকের বেশিই ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়েছে। সংসার জীবনে দুই ছেলে ও চার মেয়ের মা হন শান্ত রানী মন্ডল। ছেলেমেয়েরা যার যার মতো পৃথক হওয়ায় এখন তিনি তার ছোট ছেলে গণেশ চন্দ্র মন্ডলের বাড়িতে থাকেন। শান্ত রানী বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি ছোট ছেলের কাছে থাকি আরেক দিকে গাঙ্গে বাড়ি ভাইঙ্গা যাইতেছে। আমার অন্য ছেলেমেয়েরা কেউ আমারে দেখে না। ছোট ছেলে তার বউ, ছেলে মেয়ে নিয়ে কোনরকম কষ্ট দিনযাপন করে। তার ওপর আমারে পালতে ওর অনেক কষ্ট হয়। মোকনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান কোকা বলেন, কয়েক মাস আগে শান্ত রানীসহ কয়েকজন বয়স্ক মহিলা এসেছিল। সীমিত কার্ড থাকায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
×