ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২৫ হাজারকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক ॥ বন্ধ হচ্ছে সব সরকারী পাটকল

প্রকাশিত: ২১:৪২, ২৯ জুন ২০২০

২৫ হাজারকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক ॥ বন্ধ হচ্ছে সব সরকারী পাটকল

রহিম শেখ ॥ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সরকারী সব পাটকল। বছরের পর বছর ধরে লোকসান গোনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর প্রায় ২৫ হাজার স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি)। বিষয়টি জানাতে রবিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, এজন্য সরকার চিন্তা করেছে শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দিয়ে এই খাতকে এগিয়ে নিতে। তবে বিদায় হওয়া এসব শ্রমিক একই প্রতিষ্ঠানে দৈনিক, ঘণ্টা ও উৎপাদনভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে বিজেএমসি। শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো এবং তাদের কাজের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য নতুন পিপিপি ব্যবস্থাপনায় পাটকল স্থাপন করার শর্ত দেয়া হচ্ছে। অন্য কোন কারখানা স্থাপন করা যাবে না। একই সঙ্গে ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন মেনে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেবে। এদিকে পাটকল বন্ধ হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোন অবনতি না ঘটে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মনুœজান সুফিয়ানের সঙ্গে ইতোমধ্যে বৈঠক করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। জানা গেছে, বিজেএমসির অধীনে এক সময় ৭৬টি পাটকল ছিল। বর্তমানে চালু আছে ২৫টি। এর মধ্যে ২২টি পাটকল ও ৩টি নন জুট কারখানা। ঢাকা অঞ্চলে ৭টি, চট্টগ্রামে ১০টি ও খুলনা অঞ্চলে ৯টি পাটকল রয়েছে। পাটকলগুলোতে বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত বদলি ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা আরও ১ হাজার হাজার। গত কয়েক বছর আগে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর সংস্কারের জন্য চীনের সরকারী প্রতিষ্ঠান চায়না টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কর্পোরেশন ফর ফরেন ইকোনমিক এ্যান্ড টেকনিক্যাল কর্পোরেশনের (সিটিইএক্সআইসি) কারিগরি সহায়তা নেয়ার জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। সিটিইএক্সআইসির জরিপ বলছে, পাটকলগুলোর বিদ্যমান পুরনো যন্ত্রপাতি সংস্কার করে কোন লাভ হবে না। এর সবই বদলাতে হবে। সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পিপিপির ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল পরিচালনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে সরকার। সূত্র জানায়, গত ১০ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো কেবল একবার লাভের মুখ দেখেছে। ১০ বছরে লোকসানের পরিমাণ ৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে যে ৫৭৩ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে, তা তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিকে দেশে ও বিদেশে বিজেএমসির পাটপণ্য বিক্রির আয়ও হঠাৎ করে অর্ধেকে নেমেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার পণ্য বিক্রির বিপরীতে গত অর্থবছর তা কমে হয়েছে মাত্র ৫৯২ কোটি টাকা। এই অবস্থায় পাটশিল্পের লোকসান রোধে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিককে সর্বশেষ মজুরি কমিশন অনুযায়ী সব পাওনা পরিশোধ করে ‘বিদায়’ (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) দিতে যাচ্ছে সরকার। রবিবার শ্রমিক অবসায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ব্যবস্থাপনা মডেল সংস্কার নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী মন্ত্রী বলেন, পাটকলগুলোতে লোকসান হচ্ছে, এজন্য সরকার চিন্তা করেছে শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দিয়ে এই খাতকে এগিয়ে নিতে। সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, পাটকলগুলোতে ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের চাকরির অবসান করতে। পাটকল শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেয়ার পর পিপিপির (সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব) আওতায় পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন করে উৎপাদনমুখী করা হবে। তখন এসব শ্রমিক সেখানে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৫৪ জন পাটকল শ্রমিক অবসরে গেছেন জানিয়ে সচিব বলেন, অর্থ সঙ্কটে তাদের অবসর ভাতা দেয়া এখনও সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন মেনে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বিজেএমসি) তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে যাচ্ছে। শ্রমিকের পাওনা পরিশোধসহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতে ইতোমধ্যে ছয় হাজার কোটি টাকা চেয়েছে বিজেএমসি। বন্ধের পর সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে নতুন ব্যবস্থাপনায় এসব পাটকল আবার চালু করা হবে। নতুন ব্যবস্থাপনায় এসব কারখানায় পুরনো শ্রমিকদের চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে। তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই পরবর্তী কৌশল সাজাচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি পাওয়ার পর শান্তিপূর্ণভাবে সরকারী পাটকল বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে বাকি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রথম প্রস্তুতি সভাটি গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। সভা শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক সাংবাদিকদের জানান, দেশের পাট খাতে ব্যক্তি খাতের অংশ এখন ৯৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ আমাদের সরকারী মিলগুলোর। ক্রমাগত লোকসান হবে, এত টাকা সরকারের দেয়ার ক্ষমতা নেই। শ্রমিকদেরও সবসময় আন্দোলন করে টাকা আদায় করতে হয়। নয় হাজার কর্মী আছেন, যারা পেনশনের টাকা পাননি। তাদের প্রথম কিস্তিতে টাকা দেয়া হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রথম কিস্তি দেয়া হবে। করোনা না হলে আমরা পুরোটাই দিতে পারতাম। এখন পার্ট বাই পার্ট দেব। অবশ্যই তারিখ বলে দেব। আমরা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে দিতে চাচ্ছি। তিনি বলেন, আগে মিলগুলোকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। আমরা বিক্রি না করে জুট মিল রাখব। এমন ম্যানেজমেন্ট দেব যাতে লোক ছাঁটাই না হয়। এ শ্রমিকরা এখানেই চাকরি পাবেন, কারণ দক্ষ কর্মী ছাড়া মিল চালাতে দেয়া হবে না। মিলগুলো বুঝে পাওয়ার পর টেন্ডার হবে। যে বেশি দেয় তাকে দেয়া হবে। কিন্তু তাকে অবশ্যই পাটকল পরিচালনায় দক্ষ হতে হবে। দক্ষ না হলে সে কাজ করবে না। জমি নেয়ার চেষ্টা করলে সেটা আমরা দেব না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু পাটের জন্য আন্দোলন করেছেন, সুতরাং পাটকে আমাদের রাখতে হবে। পিপিপির মাধ্যমে জুট মিল থাকবে, এটাই সিদ্ধান্ত। এদিকে মিলগুলো বন্ধের নীতিগত সিদ্ধান্ত থেকেই পাট খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বড় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে বিজেএমসির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থাপনায় থাকা সব মিল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। লোকসান কমাতে আমরা স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সম্মানজনকভাবে বিদায় জানাতে চাই। তারা ইচ্ছা করলে যোগ্যতা অনুযায়ী একই পাটকলে দৈনিক ভিত্তিতে কাজও করতে পারবেন। সেই সুযোগও থাকবে। তারা তাদের সব পাওনা পাবেন। তিনি জানান, শ্রমিকদের পাওনা এবং অন্য ইউটিলিটি বিলসহ ছয় হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। এই পরিমাণ অর্থই সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকারী পাটকলে বছরে গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়। বেতনের দাবিতে প্রায়ই শ্রমিকদের আন্দোলনে নামতে হয়। তাদের দাবির মুখে সরকার কিছু অর্থ বরাদ্দ দিয়ে বকেয়া পরিশোধ করে। যেহেতু লোকসানি প্রতিষ্ঠান সে কারণে আবার কয়েকদিন পর একই সঙ্কট তৈরি হয়। শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসে। সরকারের সমালোচনা হয়। এভাবে বছরের পর বছর লোকসান এবং শ্রম অসন্তোষের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিজেএমসির পাটকলগুলো। লোকসানের কারণ হিসেবে তারা জানান, বছর বছর ইনক্রিমেন্ট মিলে বেসরকারী খাতের শ্রমিকদের তুলনায় বিজেএমসির পাটকল শ্রমিকদের বেতন অন্তত তিনগুণ। যন্ত্রপাতি পুরনো হওয়ার কারণে উৎপাদন ক্ষমতা অর্ধেকেরও কম। বিপণন নেটওয়ার্কে আছে দুর্বলতা। আছে দুর্নীতি ও অনিয়ম। ফলে বাণিজ্যিকভাবে মুনাফার মুখ দেখার কোন সম্ভাবনা নেই। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে এক ধরনের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর মতো করে পাটকলগুলো চালু রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)’র বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, সরকারী পাটকলের সঙ্গে একদিকে শ্রমিকের স্বার্থ জড়িত, অন্যদিকে সেগুলোতে বড় ধরনের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি রয়েছে। প্রতিবছর করদাতাদের শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে পাটকলগুলো চালু রাখতে হচ্ছে। তারপরও প্রায় সবকটিই লোকসান গুনছে। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, পাটকলগুলোর আকার যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনার পাশাপাশি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন করে সরকারী খাতে রেখে বা ব্যবস্থাপনা বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিয়ে কিংবা সরকারী- বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিই) ভিত্তিতে পরিচালনার মাধ্যমে পুনর্গঠন সম্ভব। বর্তমানে পিপিপির মাধ্যমে পরিচালনার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ভিত্তিতে করতে হবে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অনেকের আপত্তি রয়েছে। জানতে চাইলে খুলনার প্লাটিনাম জুট মিলের সাবেক সিবিএ সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, লোকসানের কথা বলে সরকারী পাটকল বন্ধ করা হচ্ছে। তবে লোকসান হয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও নীতি নির্ধারণের কারণে। শ্রমিকরা কেউ চান না পাটকল স্থায়ীভাবে বন্ধ হোক। তিনি বলেন, ভরা মৌসুমে পাট কেনা হলে ও উৎপাদিত পণ্য ঠিকমতো বিক্রির ব্যবস্থা করলে মিলগুলো লাভের মুখ দেখবে বলে দাবি করেন তিনি। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজশাহীর প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন বলেন, শুনেছি সরকার পাটকল বন্ধ করে দিয়ে পাটকল শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধ করবে। পরবর্তীতে পিপিপির মাধ্যমে পাটকলগুলো চালু করবে। আমরা এটা মানি না। পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান বাম দলগুলোর ॥ বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে থাকা পাটকলগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী দলগুলো। একই দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদও। ‘সরকারের ভেতরের একটি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রে’ সরকার পাটকলগুলো বন্ধের পথে হাঁটছে বলে অভিযোগ করেছে জাসদ। এই সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে সরে আসার দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতারা। শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় জাসদ। অপরদিকে এর প্রতিবাদে রবিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে বিজেএমসি কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের ভেতরের এক গোষ্ঠী সেই সিদ্ধান্ত ও প্রস্তাব বাস্তবায়ন না করে পাটকলগুলোকে অচল করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়।
×