অনলাইন রিপোর্টার ॥ দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আরও ৩৪ জনের মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৫ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা শনিবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এই তথ্য জানান।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ হাজার ৫০৪ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে দেশে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ১৮৫ জনের সেরে ওঠার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। অনুমিত হিসাবে এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৩১৮ জন।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৯টি, নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ১৫৭টি। এখন পর্যন্ত সাত লাখ ১২ হাজার ৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ৫০৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ।
তিনি জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ এবং দুই জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
অঞ্চল বিবেচনায় এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে চার জন, খুলনা বিভাগে একজন, সিলেট বিভাগে চার জন এবং রংপুর বিভাগে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন চার জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭২৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ২৬৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৫৯ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ৯ হাজার ৮২৬ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ২৪ হাজার ৯৩ জনকে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে দুই হাজার ৩১২ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন দুই হাজার ৫২০ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন দুই লাখ ৭৭ হাজার ১৫৭ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৩ হাজার ৯১৩ জন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: