ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় ল্যাবে নমুনা জট ॥ ১৪ দিনেও মিলছে না রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:২১, ২৫ জুন ২০২০

বগুড়ায় ল্যাবে নমুনা জট ॥ ১৪ দিনেও মিলছে না রিপোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বেসরকারী চাকরিজীবী আব্দুল কাইয়ুম। তিনি যখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দেয়ার জন্য গিয়েছিলেন, তখন দাঁড়িয়ে থাকতেও পারছিলেন না। জ¦র, সর্দি, কাশি, বমি ও দুর্বলতা সব কিছু মিলিয়ে অবস্থা একেবারে কাহিল। করোনার সব উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে যান। এখন চৌদ্দ দিন পরে তিনি প্রায় সুস্থ। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সে পরীক্ষার রেজাল্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত পাননি। এ রকম অবস্থা অনেকের। বগুড়ায় করোনার সংক্রমণের সঙ্গে নমুনা পরীক্ষারও বেসামাল অবস্থা। বেশির ভাগ পরীক্ষার রেজাল্ট ৭ দিনের আগে হচ্ছে না (বেসরকারী ল্যাব ছাড়া)। এতে নমুনা দেয়া লোকজন ভোগান্তি এবং অনিশ্চয়তাসহ মানসিকভাবে চাপে পড়ছেন। নমুনা পরীক্ষার ফলে অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণে সংক্রমণ পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে। বেড়েই চলছে নমুনা জট। বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) কর্তৃপক্ষ বলছেন, সোমবার পর্যন্ত পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা নমুনার সংখ্যা ১৩শ’। যেখানে প্রতিদিন তাদের আরটিপিসির ল্যাবে পরীক্ষার সক্ষমতা ১৮৮। আর প্রতিদিন নতুন করে নমুনা ব্যাকলক বা পরীক্ষার জন্য নমুনা জড়ো হচ্ছে ৩ শতাধিক। শুধু নমুনা পরীক্ষার জট নয়, এখন নমুনা সংগ্রহের স্যাম্পল সংগ্রহ কিট ভিটিএম’র (ভাইরাস ট্রান্সফার মিডিয়াম) ও সোয়াপ স্টিক সঙ্কট থাকায় নমুনা সংগ্রহেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বগুড়া মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে নতুন আরেকটি পিসিআর মেশিন স্থাপন না করলে করোনার নমুনা পরীক্ষার জট ও লোকজনের ভোগান্তি কমবে না। বগুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ রেজাউল আলম জুয়েল জানান, ১২টি উপজেলা ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ হয় সাড়ে ৫ থেকে ৬শ’ নমুনা। আর তাদের পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন পরীক্ষার সক্ষমতা ১৮৮। ফলে প্রতিদিন সাড়ে ৩শ’ এর বেশি নমুনার জট তৈরি হচ্ছে। জট হওয়া নমুনা ৪/৫ দিন পর পর ঢাকায় ন্যাশন্যাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠান হচ্ছে। সেখানে পরীক্ষা শেষে ফল আসতে আসতে আরও ৪/৫ দিন লাগছে। এরপর সে সব ফল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ঘোষণা করছে। এজন্য পরীক্ষার ফলাফল পেতে রোগীদের বিলম্ব হচ্ছে। তিনি জানান, বগুড়া মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের আরটি পিসিআর ল্যাবে আরেকটি পিসিআর মেশিন জরুরী প্রয়োজন। এটি হলে আগেরটির ব্যাক আপ হিসেবেও যেমন কাজ করবে সেই সঙ্গে বর্তমান লোকবল দিয়েই আরেকটি পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন আরও ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব।
×