অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনা সঙ্কটের মধ্যে ব্যাংকের পর এবার ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও নগদ জমা সংরক্ষণের (সিআরআর) হার কমাল বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানের সিআরআর বিদ্যমান আড়াই শতাংশ থেকে কমিয়ে দেড় শতাংশ করা হয়েছে। এটি গত ১ জুন থেকে কার্যকর ধরা হবে। গত ৯ এপ্রিল ও ২৩ মার্চ দুই দফায় ব্যাংকগুলোর সিআরআর দেড় শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ টাকার সঙ্কটে থাকায় সিআরআর কমানো হয়েছে। তবে ব্যাংকের মতো এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের জন্য সুদহার নির্ধারণ করে দেয়ার কোন পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই। তিনি বলেন, এমনিতেই অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সঙ্কটের মধ্যে আছে। করোনাভাইরাসের কারণে ঋণের অর্থ যথাসময়ে ফেরত না আসায় তারা নগদ টাকার চাপে পড়েছে। এ রকম প্রেক্ষাপটে সিআরআর কমানো হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মেয়াদী আমানত গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এখন থেকে দ্বি-সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গড়ে দেড় শতাংশ হারে সিআরআর রাখতে হবে। আর দৈনিক সংরক্ষণের হার কোনদিন এক শতাংশের কম হবে না। এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্বি-সাপ্তাহিক ভিত্তিতে গড়ে আড়াই শতাংশ এবং দৈনিক ২ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হতো। তবে মেয়াদী আমানত গ্রহণকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এসএলআর সংরক্ষণের হার বর্তমানের মতো ৫ শতাংশ এবং আমানত গ্রহণ করে না এ রকম আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এসএলআর আড়াই শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।
করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির হাত থেকে দেশকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক লাখ কোটি টাকার বেশি আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এসব প্যাকেজের মধ্যে দুটি প্যাকেজের আওতায় সিএমএসএমই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং শিল্প ও সেবা খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা বিতরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও অংশ নিতে পারবে। এ প্যাকেজের আওতায় বিতরণ করা ঋণের অর্ধেক পুনঃ অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর সুদের একটি অংশ ভর্তুকি দেবে সরকার। যদিও ঋণের আদায়, গ্রাহক নির্বাচনসহ সব দায়দায়িত্ব থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: