ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৭ জুন ২০২০

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এর পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। শনিবার পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ১৪১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ফল এসেছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৭২ জন মহানগরীর এবং ৬৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের। করোনার ফল আসার আগেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু ॥ অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের সদস্য ছিলেন মোঃ শাহ আলম (৩৬) ও মোঃ শাহজাহান (৩২)। এদের বাড়ি হাটহাজারীতে। আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যু ঘটেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে। একের পর এক সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউ খুঁজেও তারা এ সুবিধা পায়নি। মোঃ শাহজাহান শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এর আগে দুপুরে একই হাসপাতালে মারা যান বড় ভাই শাহ আলম। মরহুম শাহ আলম দুবাইতে সবজির ব্যবসা করতেন। আর ছোট ভাই শাহজাহান হাটহাজারীতে একটি দোকানে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। করোনা সন্দেহে আত্মহত্যা ॥ বোয়ালখালীতে শনিবার দুপুরের আগে এক ব্যক্তি ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। তার নাম সুমন দেওয়ানজী (৩৬)। তিনি স্থানীয় হরি চৌকিদার বাড়ির টুনটু দেওয়ানজীর পুত্র বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, পাঁচতলা বিশিষ্ট স্থানীয় আম্বিয়া কলেজের ছাদ থেকে তাকে লাফিয়ে পড়তে দেখা গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মৃণাল কান্তি বিশ^াস টিটু সাংবাদিকদের বলেছেন, নিহত সুমন শুক্রবার রাতে তার স্ত্রীকে জানায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে তারা শনিবার করোনা পরীক্ষার জন্য মত দেন। কিন্তু তার আগেই তিনি কলেজ ভবনের পাঁচতলায় উঠে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। যুবকের মৃত্যু ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরহাদ হোসাইন (৩৩) নামের এক যুবক মারা গেছেন। শনিবার সকাল ৮টায় তার মৃত্যু হয়। বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান করোনামুক্ত ॥ চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ শাকিল আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের আরও ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হন। ফলে প্রতিষ্ঠানটি তিনদিন বন্ধ রাখা হয়। গত শুক্রবার ডাঃ শাকিল আহমেদের পুনরায় নমুনা পরীক্ষা করা হলে ফল নেগেটিভ আসে। আরও কদিন পর দ্বিতীয় দফায় করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা শুরুর পর এ ল্যাবের নেতৃত্বে রয়েছেন ডাঃ শাকিল আহমেদ।
×